Advertisement
Advertisement

Breaking News

গতিতে ঝড় তুলে ছুটল চালকহীন মেট্রো, সফল পরীক্ষা

সর্বোচ্চ গতি ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

Driveless Trail Run in kolkata metro
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 1, 2018 12:58 pm
  • Updated:November 1, 2018 12:58 pm

নব্যেন্দু হাজরা: গতিতে ঝড় তুলল চালকহীন রেক। ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার দিয়ে মাস দু’য়েক আগে শুরু হয়েছিল তার ট্রায়াল রান। আর মঙ্গলবার রাতে সেই রেকেরই গতি উঠল সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। চালকহীন ট্রেন চালানোর প্রযুক্তি থাকলেও অবশ্য নিরাপত্তার স্বার্থে মোটরম্যানের কেবিনে চালক উপস্থিতই ছিলেন ট্রায়াল রানের সময়। সিটি সেন্টার থেকে বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং সেখান থেকে স্টেডিয়ামের মাঝে যে দূরত্ব সেখানে গতির কাঁটা সর্বোচ্চ করা হয়। আরডিএসও (দ্য রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন)-র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই চলে এই পরীক্ষামূলক দৌড়।

[ভোরে হিমেল পরশ থাকলেও এখনই বঙ্গে আসছে না শীত]

সূত্রের খবর, রেকের এই সর্বোচ্চ গতি তুলতে কোনও সমস্যা হয়নি। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য এখনও চারটি রেক এলেও ট্রায়াল চলছে প্রথম দু’টির। তবে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রেকের কন্ডিশন দেখার জন্যই এই সর্বোচ্চ গতি তোলা হল ট্রেনে। এই গতিতে তো ছুটবে না। কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি যে গতির ছাড়পত্র দেবে সেই গতিতেই চলবে। সেক্ষেত্রে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হওয়ার সম্ভাবনা। তার থেকেও কমতে পারে।

Advertisement

মেট্রো সূত্রে খবর, দিন দু’য়েক আরও ট্রায়াল রান হওয়ার পর তা বন্ধ থাকবে। ফের শুরু হবে দেওয়ালির পর। চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। তা দেখার পর আরডিএসও গিয়ে রিপোর্ট দেবে রেলমন্ত্রকে। রেলমন্ত্রক ফের পর্যবেক্ষণ চালাবে। অবশেষে যাবে কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্রের জন্য। প্রথম ভায়াডাক্টে তুলে চালানো হয়েছিল এই চালকহীন রেক। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক ডিপো থেকে সেক্টর ফাইভ স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করে রেকটি। গতি ছিল ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার।

Advertisement

[ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের]

ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চললেও দুই ট্রেনের মধ্যে কতক্ষণ অন্তর ট্রেন চালানো হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। মেট্রো আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই সময়সীমা নির্ধারণ করতে একটি কন্ট্রোলিং বডি তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চার মিনিট অন্তর ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  মেট্রোর এক আধিকারিক জানান, নতুন এই রেক যে প্রযুক্তিতে তৈরি তাতে সবচেয়ে কম আড়াই মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো যাবে। যদিও এখনই তার প্রয়োজন নেই।

মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্রথম ফেজে যে ছ’টি স্টেশনের মধ্যে ট্রেন চলবে তার জন্য পাঁচটি রেকই যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে চারটি রেক এসে গিয়েছে। যাত্রাপথে থাকছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার বেঙ্গল কেমিক্যাল, সল্টলেক স্টেডিয়াম, ফুলবাগান স্টেশন। মেট্রো সূত্রের খবর, মাটির তলায় একমাত্র ফুলবাগান স্টেশন। বাকিগুলি মাটির ওপরে। কিন্তু স্টেশনে ভেন্টিলেশন সিস্টেমের কাজ, এয়ার কন্ডিশনিংয়ের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। আলো থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর বসানো-র মতো কাজও বাকি রয়েছে। কেএমআরসিএলের এক কর্তা জানান, “সময়মতোই এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে এবং ট্রেন চলবে। ট্রেনের ট্রায়াল রান ভালভাবেই শেষ হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ