Advertisement
Advertisement

Breaking News

ক্যাম্পাসে বেহুঁশ অবস্থায় উদ্ধার মদ্যপ ছাত্রী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল

অভিযোগ, সূর্য ডুবলেই মাদক সেবনের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

Drunk student found in Jadavpur University

ফাইল চিত্র

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 6, 2018 9:33 am
  • Updated:December 6, 2018 9:33 am

স্টাফ রিপোর্টার: ক্যাম্পাসের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রী উদ্ধার ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীদের বিষয়টি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। রেজিস্ট্রার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়।

[আইন ভেঙেছে চালক, অন্য অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীকে হাসপাতালে পাঠাল পুলিশ]

Advertisement

বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই কারণে ইউনিয়নগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। যাদবপুরে অবশ্য এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। চিরঞ্জীববাবুও এদিন এই বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, “২০১৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাদব সেবনের প্রবণতা বেড়েছে।” একই সুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথেরও। এদিন তিনি জানান, “এ নিয়ে ইউনিয়ন আগেও অনেক কর্মসূচি করেছে। ভবিষ্যতেও করবে।” তাঁর কথায়, ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক সেবনকে আমরা সামাজিক ব্যাধি হিসাবেই মনে করি। তবে শুধু একা ইউনিয়ন নয়, ছাত্র-ইউনিয়ন-কর্তৃপক্ষ মিলেমিশে কাজ করলেই এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দেবরাজ।

Advertisement

[মদ খাওয়ার টাকা না পেয়ে মেয়েকে পুড়িয়ে মারল বাবা]

বস্তুত, ক্যাম্পাসে বহিরাগতের প্রবেশ, মদ ও মাদকদ্রব্য সেবন নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে গত মে মাসেই বৈঠক করেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সূর্য ডুবলেই মাদক সেবনের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝিলের ধার, খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের চাতাল। এমন অভিযোগ উঠেছে বারবার। তা নিয়ে যত কথাই হোক, পরিস্থিতি যে বিশেষ বদলায়নি, সে প্রমাণও মিলেছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেও বহিরাগতরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বহিরাগতের প্রবেশ, মদ এবং মাদক সেবন সংক্রান্ত বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে বারবার মিছিল, আলোচনাসভা করতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদের নেশা করা থেকে আটকানো সম্ভব হয়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ