সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরতের অকালবোধনে রঙিন হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। আবির্ভাব ঘটে দেবী দুর্গার। কিন্তু অকাল ক্রিকেটের কথা শুনেছেন? যেখানে চৈত্র শুরুর ভরা গরমেই বাইশ গজে চলছে জোর লড়াই!
শরৎকালে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন বাঙালিরা। নতুন নতুন থিম, আলোর রোশনাইয়ে সাজে শহরের বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ। পুজোশিল্পী আর উদ্যোক্তাদের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিবারই নতুন কিছু দেখার সুযোগ পান পুজোপাগল বাঙালি। পুজোর আনন্দ হয়ে ওঠে দ্বিগুণ। সেই পুজো আসতে এখনও কয়েক মাস বাকি। তবে তার আগে বাসন্তী পুজোর মরশুমেই মাঠে নেমে পড়লেন পুজো শিল্পী ও ক্লাব কর্তারা। না, হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে নয়। এ হল মুখোমুখি সংঘর্ষ। যেখানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছেন না। এ লড়াই বাইশ গজের।
প্রাক হীরক জয়ন্তী বর্ষে বেহালা নূতন সংঘের উদ্যোগে বেহালায় শুরু হয়েছে দু’দিনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। রবিবার যার চূড়ান্ত পর্ব। বেহালা, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার মোট ১৬টি পুজো ক্লাব অংশ নিয়েছিল এই টুর্নামেন্টে। যাদের মধ্যে শেষ চারে পৌঁছে যায় নূতন দল, অজেয় সংহতি, টালা পার্ক প্রত্যয় এবং বেহালা ফ্রেন্ডস। এছাড়াও ১০ ওভারের একটি বিশেষ ম্যাচ হচ্ছে পুজো শিল্পী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে। ভবতোষ সুতার, বিমল সামন্তর মতো পুজোর নামী শিল্পীরা এদিন রংতুলি সরিয়ে হাতে তুলে নিচ্ছেন ব্যাট-বল। এক কথায় বেহালায় আজ সুপার সানডে।
তবে শুধুই পুজোপাগল ও পুজো শিল্পীরা নন, নূতন সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট ম্যাচও। ভারতেন্দু অন্ধ আশ্রম, বেহালা দৃষ্টিহীন শিল্প নিকেতন, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড দলের মধ্যেও হবে নটআউট টুর্নামেন্ট। আর এই ক্রিকেটের আসরের অন্যতম আকর্ষণ সুরজিৎ ঘড়া। যাঁকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে গত বছর দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গিয়েছিল। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছিলেন দলে। দৃ্ষ্টিহীনদের জন্য পুজো কমিটির এমন উদ্যোগে আপ্লুত মেদিনীপুরের সুরজিৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.