Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘শহিদের রক্ত বিফলে যাবে না’, প্রতিশোধের আগুনে ফুটছে ইস্টার্ন কম্যান্ড

নতুন স্ট্র‌্যাটেজি সেনার মাথায়৷

Eastern command condolences martyrs
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 17, 2019 9:45 am
  • Updated:February 17, 2019 10:22 am

অর্ণব আইচ: ‘দে দনাদন৷ চালাও গোলি৷ প্রতিশোধ চাই৷ একজন জঙ্গিও যাতে পালাতে না পারে।’ কাশ্মীর থেকে অনেক দূরে কলকাতায় বসে তাঁদের চোখে যেন আগুন জ্বলছে। তাঁদের কারও গুলিতে মৃত্যু হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মোক্তার আহমেদের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মৃত্যুপুরী উপত্যকায় কেউ গুলি চালিয়েছেন জঙ্গিদের দিকে। আবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কারও গুলিতে নিকেশ হয়েছে আল কায়দার দুশমন। দুর্দান্ত সাহসিকতার জন্য শনিবার ফোর্ট উইলিয়ামে এরকমই দশ জওয়ানের হাতে সেনা মেডেল তুলে দিলেন ইস্টার্ন কম্যান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এম নারাভান। তাঁদের সকলের একটাই দাবি, একটাই লক্ষ্য, ‘শহিদ জওয়ানদের রক্ত যেন বিফলে না যায়৷ কাপুরুষদের উচিত শিক্ষা দিতেই হবে৷’

[নিরাপত্তার স্বার্থে বামেদের মিছিল আটকেও পরে ছেড়ে দিল পুলিশ ]

Advertisement

Advertisement

তিনি জানান, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য নতুন স্ট্র‌্যাটেজি নেওয়া হয়েছে। চিনা সেনার সু-সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছে। চিনা সেনার তরফে তাঁদের মিলিটারি শিবিরে যৌথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আমন্ত্রণও মিলেছে। ভারতীয় সেনাদের পক্ষে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে বাসিন্দাদের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে সেনাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আর্থিকভাবেও শক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জওয়ানদের উপর জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, এই খবর পাওয়ার পর থেকে হাত নিশপিশ করছিল তাংচোনলেনের। ২০১৭-র জুলাই মাসে যে তাঁর হাতেই নিকেশ হয়েছিল এক জইশ জঙ্গি নেতা। কাশ্মীরের বান্দিপুরার সেই ঘটনাটি এখনও ভুলতে পারেননি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এই জওয়ান। তাঁদের কাছে খবর আসে জইশের কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে গোপন ডেরায়। সেইমতো এক জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ওই জঙ্গি ডেরায় হানা দেন তাংচোনলেন। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় জইশ নেতা মোক্তার আহমেদের। তাই জওয়ানদের উপর জইশ জঙ্গিদের হামলা কলকাতায় বসে মেনে নিতে পারছেন না ওই জওয়ান। যে পুলওয়ামায় সিআরপিএফের জওয়ানদের উপর এত বড় হামলা, সেই পুলওয়ামায় জঙ্গি অভিযানের প্রত্যেকটি মুহূর্ত মনে রয়েছে মেজর শচীন সিং রাওয়াতের। মেজর রাওয়াত জানান, ২০১৭-র আগস্ট মাসে তাঁদের কাছে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর এসেছিল। তিনি ও আরও দুই জওয়ান জঙ্গিদের তাড়া করেন। তাঁদের ছোঁড়া গুলিতে খতম হয় আল কায়দার তিন জঙ্গি।

[পুলিশ ভ্যান থেকে বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নেওয়ার ছক বানচাল করল STF]

কাশ্মীরের বান্দিপুরায় ডিউটিতে ছিলেন কুমায়ুন রেজিমেন্টের জওয়ান মহেশ সিংয়। তিনি জানান, গোপন খবর পেয়ে তাঁরা হানা দেওয়ামাত্রই তাঁদের দিকে ছুটে আসে গুলির ঝাঁক। তাঁর ও এক সহকর্মীর বুলেট প্রুফ জ্যাকেটে গুলি লাগে। জ্যাকেট যদি না থাকত, সেই গুলি হয়তো বিঁধত তাঁদের শরীরে। যদিও তা থামাতে পারেনি তাঁদের। পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। শেষ হয় পাঁচ জঙ্গি। একইভাবে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ান সীতা রামও গুলির লড়াই চালান। মৃত্যু হয় জঙ্গিদের। মহেশ, তাংচোনলেন বা সীতা রাম প্রত্যেকেই রাগে ফুঁসছেন। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর তাঁরা ফের মুখোমুখি হতে চান জঙ্গিদের। প্রত্যেকেই চান বদলা। এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে অনুষ্ঠানে একজনকে যুদ্ধ সেনা মেডেল, দশজনকে সেনা মেডেল (সাহসিকতা), পাঁচজনকে সেনা মেডেল (ডিস্টিংগুইশড), ১২ জনকে বিশিষ্ট সেনা মেডেল ও ১৮টি ইউনিটকে বিশেষ মেডেলে পুরস্কৃত করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ