Advertisement
Advertisement
ED

নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি হানা, এবার প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি

প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট ও অফিসেও চলছে তল্লাশি।

ED raid in Kolkata in connection with SSC Scam | Sangbad Pratidin

নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি হানা।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 18, 2024 8:49 am
  • Updated:January 18, 2024 1:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: প্রাথমিকে নিয়োগ -রেশনের পর এবার এসএসসি দুর্নীতিতেও সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের ৭ ঠিকানায় হানা দিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর মধ্যে সদ্য জামিন পাওয়া প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট, অফিসের পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িও রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান ছিলেন।

সূত্রের দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রসন্ন রায়। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। প্রায় একই সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রদীপ সিংও। সম্প্রতি তাঁরা দুজনই জামিন পেয়েছেন। এর আগে এই দুজনের বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কিন্তু এই প্রথমবার তাঁদের বাড়িতে হানা দিল ইডি। এদিন সকালে নিউটাউনের তিন আবাসন, মুকুন্দপুর ও নয়াবাদে চলছে তল্লাশি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যারা চাকরি না পেয়ে আন্দোলন করছেন তাঁদের অবস্থা বেশি করুণ! পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের]

ইডি সূত্রে খবর, ৪০০টিরও বেশি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে প্রসন্নকুমার রায়ের। তাঁর এই সম্পত্তির উৎস কী,  তা জানতে এবার তদন্তে নেমেছে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিউটাউন বলাকা আবাসনের দুটি বাড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আইডিয়াল ভিলা-সহ একাধিক জায়গায় ইডি তল্লাশি অভিযান। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিসেও চলছে তল্লাশি। এর পাশাপাশি প্রদীপ সিং ও রনিত ঝাঁ নামে দুই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রদীপ সিংও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এদিন তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। নয়াবাদে ব্যবসায়ী রণিত ঝাঁয়ের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, পেশায় প্রোমোটার রণিত আবার প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ। প্রদীপ সিংয়ের নম্বর তাঁর ফোনে ছোটু বলে সেভ করা ছিল। 

Advertisement

রোহিতের মাধ্যমে কীভাবে পাচার হয়েছে টাকা, তার সন্ধান চালাচ্ছে ইডি। সিবিআইএর চার্জশিটে রোহিতের নাম উল্লেখ করা ছিল প্রসন্নর সঙ্গী হিসেবে। প্রসন্ন রায় নিজে ‘কি পারসন’ বলেই সিবিআই ও ইডির অভিযোগ। সম্প্রতি জামিন পেলেও প্রসন্ন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী ও শান্তিপ্রসাদ সিংহ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সংযোগকারী হয়ে কাজ করতেন বলে অভিযোগ ইডি ও সিবিআইয়ের।

[আরও পড়ুন: রামমন্দিরের গৃর্ভগৃহে রামলালা! ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত অযোধ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ