Advertisement
Advertisement

হাওয়ালা কাণ্ডের যোগ, বার-ব্যারন জগজিৎ সিং ও সঙ্গীদের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

সামান্য ট্যাক্সিচালক থেকে প্রায় ২০টি বারের মালিক হয়ে যায় জগজিৎ।

ED raids liquor baron Jagjit Singh’s residence
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 7, 2018 2:04 pm
  • Updated:June 7, 2018 2:04 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: নারীপাচার-সহ বিভিন্ন দুষ্কর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছিল পানশালা-মাফিয়া জগজিৎ সিং। তাকে জেরা করে আজমল সিদ্দিকিও বিষ্ণু মুন্দ্রা নামে অন্য দুই ব্যবসায়ীকেও পাকড়াও করেছিল পুলিশ। এখন সবাই জেলে। সবার বিরুদ্ধে এবার কালো টাকা সাদা করার নতুন অভিযোগ উঠেছে। নোটবন্দির সময় পানশালার আড়ালে তারা কালো টাকা সাদা করেছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার জগজিৎ-সহ ওই ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ভবানীপুর, সল্টলেক, লেকটাউনে ওই তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির আধিকারিকরা। গতবছর দোলের পরেরদিন নবদিগন্তের সিমার্স বারে একটি গ্যাং-ওয়ার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পরে দিল্লি থেকে ওই বারের অন্যতম মালিক জগজিৎকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে। নারী পাচার-সহ বহু দুষ্কর্মে জড়িত ছিল জগজিৎ। আজমলও পানশালা চালাত। বিষ্ণু বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত। জগজিৎকে ব্যবসায়িক সাহায্য করত সে। তিনজনকে পরে এয়ারপোর্ট এবং বাগুইআটি থানা একাধিক কেসে গ্রেপ্তার করেছে।

সামান্য ট্যাক্সিচালক থেকে প্রায় ২০টি বারের মালিক হয়ে যায় জগজিৎ। বেনামে রয়েছে আরও বেশ কিছু বার এবং ডিস্কোথেক। সব মিলিয়ে বাগুইআটি, ভিআইপি রোড, বিধাননগর অঞ্চলে নামে-বেনামে ৫০টি বারে সে কর্তৃত্ব চালাত। সেখানে বসে দুষ্কৃতীরা আড্ডা দিত। প্রভাবশালীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে ব্যবসায় বাড়বাড়ন্ত জগজিৎ সিংয়ের। পুলিস-প্রশাসনের তোয়াক্কাই করত না তাঁর দলবল। ভবানীপুরের বাসিন্দা জগজিৎ ট্যাক্সি চালানোয় জুত করতে না পেরে বছর পঁচিশ আগে বাগুইআটি, বারাসত অঞ্চলে জমি-বাড়ির দালালিতে হাত পাকায়। লাভের টাকা খাটাতে শুরু করে প্রমোটারি ব্যবসায়। ভাব জমতে শুরু করে এলাকার দুষ্কৃতীদের সঙ্গে। ২০ বছর আগে ভিআইপি রোডে অংশীদারিতে শুরু করেন একটি বার। সেই তার বার, ডিস্কোথেকের ব্যবসায় পা রাখা। কিছুদিন পর খদ্দের কমতে শুরু করে। ততদিনে বাগুইআটি, লেক টাউন এলাকায় আরও বার হয়ে গিয়েছে। নিজের বারের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে শুরু হয় গানের পাশাপাশি নাচের আসর। পুলিসের অভিযোগ, সেই সময় থেকেই বারের ব্যবসার আড়ালে শুরু হয় দেহব্যবসা। দ্রুত বাড়তে থাকে প্রতিপত্তি। কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন অঞ্চল থেকে শুরু করে ভিআইপি রোড সংলগ্ন অঞ্চলে বাড়তে থাকে জগজিতের বারের সংখ্যা। বেশ কিছু বারের ডিস্কোথেক লিজ নেয় সে।‌ কিন্তু নাচগানের জন্য প্রচুর সুন্দরী তরুণী দরকার। একই চেহারা আবার বেশিদিন চলে না। তার বন্ধুত্ব জমে আজমল সিদ্দিকির সঙ্গে। এই ব্যক্তিই পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে তরুণীদের নিয়ে এসে ভিআইপি রোড সংলগ্ন বিভিন্ন বারে সরবরাহ করত। সেই অভিযোগে আজমল সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ ওঠে বারে নাচিয়ে-গাইয়ে সরবরাহের ব্যবসায় আজমলের অংশীদার জগজিৎ। এই দু’জনকে ব্যবসায়িক সাহায্য করত বিষ্ণু। তিনজনই কালো টাকা সাদা করার কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পেয়ে এদিন তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি।

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ