সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষেই মত দিলেন মমতা। বললেন, ‘সব রোহিঙ্গা জঙ্গি নয়। কারও সঙ্গে জঙ্গি যোগ থাকলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নিক।’ সাধারণ মানুষের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের তুলনা করলে চলবে না, সোমবার নবান্নে বলেন মমতা।
[ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করবেন না, হুঁশিয়ারি রিজিজুর]
মমতার এদিনের বক্তব্য কেন্দ্র বিরোধী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কেন্দ্র স্পষ্টই জানিয়েছে, পাক ও আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগসাজশের প্রমাণ রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের দাবি, মায়ানমার সীমান্তে ফাঁকফোকর গলে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ভারতে ঢুকে পড়েছে। হায়দরাবাদ, দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি নাশকতামূলক কাজকর্মে রোহিঙ্গা যোগের প্রমাণ রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তাই ভারতে কোনও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে রাজি নয় কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র বলেছে, আশ্রয় নয়, বরং মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যর্পণের পক্ষে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, ‘তার মানে এই নয় যে কোনও রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করা হবে না সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হবে।’
[জঙ্গিদের হাওয়ালা মারফত টাকা জোগাচ্ছে রোহিঙ্গারা, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র]
Can’t compromise on any terrorist activity. If any terrorist is there, govt will take action but commoner shouldn’t suffer: WB CM #Rohingya pic.twitter.com/Jut3yGhxOd
— ANI (@ANI) September 18, 2017
কিন্তু রিজিজুর মনোভাবের উলটো সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের তুলনা করলে চলবে না। জঙ্গি যোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন কোনও বিপদে না পড়ে। বিজেপির বিরোধী দলগুলিও দাবি করেছে, অন্তত মানবিকতার স্বার্থে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া উচিত।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। তাঁর বক্তব্য, ‘মমতার যদি মনে হয় কেউ রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করছে, তাহলে তাঁর উচিত এফআইআর করা। উনি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অসম্মান করেছেন। মমতা নিশ্চয় ভুলে যাননি যে পদে উনি রয়েছেন, সেটা সাংবিধানিক পদ। উনি নিজের দায়িত্ব পালন না করলে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।’ মহরমের শোভাযাত্রা ও দুর্গাপুজোর বিসর্জন বিতর্কে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিসর্জন নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে। একাদশীর দিন কোথাও বিসর্জন দেওয়া হয় না। অপপ্রচার চলছে বাংলার পুলিশের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অস্ত্র মিছিল নিয়েও তাঁর হুঁশিয়ারি, এধরনের কিছু হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।