সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে আদালতে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন ফুটবলার তথা ইস্টবেঙ্গল টিডি সুভাষ ভৌমিক। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল আলিপুর আদালত। সোমবার সাজা ঘোষণার পরই অবশ্য অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন আসিয়ান জয়ী কোচ। ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। নিন্ম আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাই কোর্টে আবেদন করতে পারবেন সুভাষ ভৌমিক। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[বার্সেলোনার সঙ্গে জুড়ল মোহনবাগানের নাম, ক্লুইভার্টদের বিরুদ্ধে নামবেন ব্যারেটোরা]
সাতের দশকে ময়দানের তারকা ফুটবলার। কোচিং কেরিয়ারেও সাফল্য কম নেই। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, অমল দত্ত পরবর্তী যুগে ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ সুভাষ ভৌমিক। কিন্তু, ঘটনা হল খেলাই হোক কিংবা কোচিং, সমসাময়িকদের মতোই পুরোপুরি পেশাদার ছিলেন না তিনিও। খেলা ও পরবর্তীকালে কোচিং তো ছিলই, কেন্দ্রীয় সরকারে আবগারি দপ্তরে চাকরিও করেছেন ময়দানের ভোম্বল দা। চাকরি জীবনে ঘুষ নিতে গিয়ে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন সুভাষ। তখন তিনি মোহনবাগানের কোচ। ঘুষকাণ্ডে নাম জড়ানোয় রাতারাতি সুভাষ ভৌমিককে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
২০০৫ সালের ঘটনা। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আবগারি দপ্তরের কর্মী হিসেবে এ শহরেরই এক কোম্পানির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। শেষপর্যন্ত দেড় লক্ষ টাকায় রফা হয়। ঠিক ছিল, নির্দিষ্ট দিনে ওই কোম্পানির অফিসে গিয়ে টাকা নেবেন ময়দানের এই নামী ফুটবলারটি। এদিকে কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর সিবিআইয়ে দুর্নীতি দমন শাখায় ঘটনাটি জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই কোম্পানির আধিকারিক। ঘটনার দিন বিকেলে যখন ওই কোম্পানি দপ্তরে যান সুভাষ ভৌমিক, তখন তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সুভাষ। এমনকী, দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের শারীরিকভাবে নিগ্রহও করেন। শেষপর্যন্ত, সুভাষ ভৌমিককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গ্রেপ্তারির পর বেশ কয়েক মাস জেলেও ছিলেন তিনি। তেরো বছর পর সেই মামলায় সুভাষ ভৌমিককে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন সুভাষ ভৌমিকের আইনজীবী। ১ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন ময়দানের ‘ভোম্বল দা’।
[মেসির জন্মদিনেই উদ্ধার তাঁর অন্ধভক্তর দেহ, শোকবিহ্বল পরিবার]