অর্ণব আইচ: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে ধৃত পলাশ বিশ্বাসকে জেরা করে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি আদপে এই দেশের বাসিন্দাই নন। তিনি আসলে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী। পুলিশের কাছে যে নাম তিনি বলেছিলেন, তাও আসল নয়। নাম, পদবি থেকে ঠিকানা সব কিছুই তাঁর ভুয়ো। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার পাকড়াও করা হয়েছিল।
জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) কাণ্ডে তদন্তকারীরা আরও বেশি তদন্তের জাল বিস্তার করেছেন। সেখান থেকেই পলাশ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধারাবাহিক জেরার পরই উঠে আসে একের পর এক তথ্য। আর সেই তথ্য থেকেই সামনে এল অনুপ্রবেশের ঘটনা। পলাশ বিশ্বাস, এই পরিচয়টাই আসল নয়। তিনি আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। ধৃত ব্যক্তির আসল নাম চয়ন বড়ুয়া। বাড়ি বাংলাদেশের কক্সবাজারের হলদিয়া ফলং, কুটবাজার এলাকায়। তিনি কক্সবাজারের আলম মডেল স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
২০২১ সালের মাঝামাঝি তিনি অবৈধভাবে অসমের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। আসল নাম, পরিচয় গোপন রেখেই দিল্লি, চেন্নাই এবং কলকাতার অনেক জায়গায় কাজও করেন। তারপর উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে ঘাঁটি গাড়েন। গঙ্গানগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। এই ব্যক্তি সুমন বড়ুয়া নামে আরেক জনের সঙ্গে এদেশে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে আরও একাধিক তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ৭৩ জন জাল পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিদেশে কাজের সূত্রে গিয়েছেন। অনেকে দেশ, রাজ্যের একাধিক জায়গায় ছড়িয়েছিটিয়ে আছেন বলেও অনুমান করছে পুলিশ।
ধৃত এই ব্যক্তি শুরুর থেকেই একাধিক বিভ্রান্তিমূলক কথা বলছিলেন তদন্তকারীদের কাছে। পাসপোর্টে উল্লিখিত ঠিকানা, অন্যান্য নথিপত্রের অস্বিস্তও পাওয়া যায়নি। তারপরেই তাঁকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.