Advertisement
Advertisement
Primary Teacher

‘দালাল কাকা’র মাধ্যমে ভুয়ো কল লেটার! প্রাথমিকে ইন্টারভিউ দিতে এসে আটক ভুয়ো পরীক্ষার্থী

এর পিছনে বড় চক্র আছে বলে মনে করছে পর্ষদ।

Fake Primary Teacher candidate detained before interview in Kolkata | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 14, 2023 5:28 pm
  • Updated:January 14, 2023 5:34 pm

দীপালি সেন: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাথতে মরিয়া পর্ষদ। এবার ইন্টারভিউ দিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী। শনিবার প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলে বালুরঘাটের এক যুবক। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে দালালের কাছ থেকে ভুয়ো কল লেটার নিয়ে ওই যুবক ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন। তাকে আটক করে বিধাননগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য় চতুর্থ পর্যায়ের ইন্টারভিউ ছিল এদিন। দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্য আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল আজ। সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। নিয়োগে দুর্নীতি এড়াতে সতর্ক পর্ষদ এবার ইন্টারভিউ দিতে আসা প্রার্থীদের নামের তালিকা দেওয়া থাকছে মূল ফটকের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ইন্টারভিউ দিতে ঢোকার চেষ্টা করেন বালুরঘাটের যুবক প্রীতম ঘোষ। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর কাছে থাকা নামের তালিকা মেলাতে গিয়ে তাঁর নাম পাওয়া যায়নি। ফলে কল লেটারে থাকা নম্বর ধরে খোঁজ করা হয়। দেখা যায়, ওই নম্বরে অন্য় জেলার এক যুবকের নাম রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলকাতার ফুটপাথে আমজনতার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শতাব্দী-কুণালের, ব্যাখ্যা দিলেন বিতর্কেরও]

এরপর প্রীতমের অ্য়াডমিট কার্ড চেয়ে পাঠায় পর্ষদের আধিকারিকরা। জবাবে প্রীতম জানান, অ্যাডমিট তাঁর মেসোমশাইয়ের কাছে রয়েছে। ফোন করে তাঁকে ডেকে আনা হয়। কিন্তু সেই অ্যাডমিট কার্ডের নম্বর পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি অন্য কারোর। এরপরই বিধাননগর পূর্ব থানায় খবর দেওয়া হয়। প্রীতম ঘোষকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে পর্ষদেপ উপসচিব পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন, “এদিন ইন্টারভিউ দিতে এসে ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়েন। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে।”

Advertisement

প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, প্রীতম ২০১৪ সালের অসফল পরীক্ষার্থী। তিনি তার মেসোকে নিয়ে আজ সকালে করুণাময়ীতে আসেন। মেসো থাকেন বেলঘড়িয়াতে। এই মেসোর সঙ্গে আজ সকালে প্রীতমের ফোনে কথা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই মেসো পাড়ার কাকা হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরে।‌ তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড বানানোর চুক্তি হয়েছিল। কল লেটার ও ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড বানিয়ে হাতে রাখে ওই কাকা নামে দালাল। মামা ও পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ পরীক্ষার্থীর ফোন থেকে সরাসরি কথা বলেন ওই ‘দালাল কাকা’র সঙ্গে। তারপর সাদা পোশাকে পুলিশ গিয়ে ওই কাকাকে ধরে আটক করে আনে। এর পিছনে বড় কোনও চক্র আছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, আগামী সপ্তাহে জনসভা মেঘালয়েও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ