কলহার মুখোপাধ্যায়: মদ খেয়ে মাতলামি করাটা এতদিন পুরুষদের একচেটিয়া ছিল। এখন মহিলারাও কম যাচ্ছেন না। বেসামাল বঙ্গললনারাই এখন পুলিশের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। বড়দিন আর বর্ষবরণের উদ্দাম রাতে তাঁদের সামলাতে বিধাননগর কমিশনারেট রাস্তায় নামাচ্ছে মহিলা পুলিশের বিশেষ ফোর্স।
[বেসামাল হলেই বিপদ, বড়দিনে কলকাতা জুড়ে সক্রিয় লালবাজারের ‘ক্যামেরা চোখ’]
পাঁচ নম্বর সেক্টর ও সল্টলেকের পানশালাগুলিতে থাকবে বাড়তি নজরদারি। মোতায়েন রাখা হবে মহিলা-সহ পুলিশ বাহিনী। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাদের বেলেল্লাপনা রুখতে আরজি মোবাইল ভ্যানে একজন করে লেডি পুলিশ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মদ খেয়ে গাড়ি চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে কমিশনারেট। মদ্যপ চালকদের আটকাতে প্রতিটি থানা এলাকায় স্পেশাল ড্রাইভ চালাবে পুলিশ। গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়লে প্রয়োজনে ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত হতে পারে। নেশা না কাটা পর্যন্ত থানায় আটক করে রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ শতাংশ বাড়তি মহিলা পুলিশ রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুপুরের পর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত রাস্তায় টহলদারি চালাবেন তাঁরা। কমিশনারেট এলাকায় মাস কয়েক আগে তিনটি পৃথক ঘটনায় মদ্যপ মহিলাদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল পুলিশকে। একটি ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশ না থাকায় গন্ডগোল করে সরে পড়েন মদ্যপ এক মহিলা ও তাঁর দুই পুরুষ সঙ্গী। এই ঘটনার পর থেকে শিক্ষা নিয়ে উৎসব মরশুমে মহিলা পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ।
[বড়দিনে বাড়তি ১৪টি মেট্রো, তবুও হয়রানির আশঙ্কায় যাত্রীরা]
আগামী একমাস উৎসবের মরশুম ধরে নিয়ে রবিবার থেকেই স্পেশাল ড্রাইভ শুরু করে দিয়েছে কমিশনারেট। এদিন ইকোপার্কে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠানের ভিড় সামলে ওয়ার্ম আপ করে নিয়েছে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন, “সামনের কয়েকদিন কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে কমিশনারেট এলাকা। তবে আইন মেনে আনন্দ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।”
[বর্ষবরণের টানে চোরাপথে এ রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশি বারবনিতারা]