সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েকঘণ্টা পরেই বিশ্বকাপের বোধন। শুরু হবে আপামর ফুটবলপ্রেমীদের রাত জাগার পালা। সেই সঙ্গে শহরবাসীরও। মাঠে বল গড়ানোর আগেই বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু তিলোত্তমা। টালি থেকে টালা, বালি থেকে বালিগঞ্জ, সর্বত্রই বিশ্বকাপ উন্মাদনা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতা জুড়ে বিশ্বকাপের আবহ। পাড়ায় পাড়ায় একটাই তর্ক, কে বড় নেইমার না মেসি। ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা, কার হাতে উঠবে কাপ। সেসব তো পরের কথা। কিন্তু বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে গোটা শহর। পিছিয়ে নেই শহরের পুজো কমিটিগুলিও। উত্তরের টালা পার্ক প্রত্যয় থেকে দক্ষিণে স্টেট ব্যাংক পার্ক সার্বজনীন, সবাই মেতেছে ফুটবলে। বৃহস্পতিবার মস্কোয় বল গড়ানোর আগেই বিশ্বকাপের রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে নিজেদের পাড়া। যেমন উত্তর কলকাতার নামী পুজোকমিটি টালা পার্ক প্রত্যয় এদিন খুঁটিপুজো উপলক্ষ্যে গোটা পাড়া সাজিয়েছিল বিশ্বকাপের আবহে। আট থেকে আশি, মায় মহিলারাও গায়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জার্সি চাপিয়ে বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতেছিলেন। সঙ্গে ছিল ফুটবল নিয়ে ধুনুচি নাচ।
একইরকমভাবে বিশ্বকাপকে পাড়ায় নিয়ে চলে এসেছে দক্ষিণের এসবি পার্ক সার্বজনীন। বিশ্বকাপের মহাতারকাদের বড় বড় কাটআউটে ছেয়েছে গোটা পাড়া। সেইসঙ্গে ৩২ দেশের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে এলাকা।
ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত পাহাড়-সমতল। দার্জিলিংয়ের ফুটবল প্রেমের খ্যাতি বরাবরই। সেই কথা মাথায় রেখেই পাহাড়ের অলিগলি থেকে চৌরাস্তা, চকবাজার সবই এখন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি বা পর্তুগালের পতাকায় মোড়া। প্রতিদিনই ম্যালে গিটার হাতে বিভিন্ন দেশের পতাকার রং মুখে মেখে জার্সি পরে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটবল ফ্যানরা। চলছে নাচ, গান, হুল্লোড় আর ফুটবল নিয়ে চায়ের কাপে তুফান তোলা আলোচনা।
রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে আজ ফুটবল বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধন। আয়োজক দেশ রাশিয়ার সঙ্গে উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। ফলে আর কিছুক্ষণের প্রহর গোনা মাত্র। সোনাদা থেকে আসা রঞ্জিত ছেত্রী, বা বিরাজ বাসনেতের কাছে এটুকু অপেক্ষাই যেন অনেক দীর্ঘ। তাঁরা জানালেন, বিশ্ব ফুটবলের এই মহারণ দেখার জন্য আর তর সইছে না তাঁদের। দার্জিলিংয়ে দোকানপাট, গাড়ি, বাড়ি সর্বত্রই প্রিয় দলের পতাকায় সাজিয়েছেন স্থানীয়রা।
দেখুন শহরে বিশ্বকাপ উন্মাদনার ভিডিও-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.