Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tangra

কারখানায় বেতন সমস্যা, ২৩ লক্ষের চেক বাউন্স! দেনার দায়ে আত্মহত্যা? ট্যাংরা কাণ্ডে কী বলছে পুলিশ?

ট্য়াংরায় বাড়ি থেকে তিন দেহ উদ্ধারে পরতে পরতে রহস্য।

Financial debt behind body recovery in Tangra
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 19, 2025 4:01 pm
  • Updated:February 19, 2025 4:19 pm  

অর্ণব আইচ: ট্য়াংরায় বাড়ি থেকে তিন দেহ উদ্ধারে পরতে পরতে রহস্য। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দেনায় ডুবে ছিল প্রণয়-প্রসূন দে-র পরিবার। একদিকে বাজারে বড় অঙ্কের দেনা অন্যদিকে বিরাট অঙ্কের চেক বাউন্স। কারখানার শ্রমিকদের বেতনও দিতে পারছিল না তারা। সবমিলিয়ে দেনার ডুবেছিল গোটা পরিবার। তাই কি স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা? তা এখনও স্পষ্ট করেনি কলকাতা পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

বুধবার সকালে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ঘটনাস্থলে যান। বাড়িটি পরিদর্শন করেন। তারপর তিনি জানান, ট্যাংরায় একটি বাড়ির তিনটি ঘর থেকে তিনটি আলাদা দেহ উদ্ধার হয়। তবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা, তা স্পষ্ট নয়। কীভাবে মৃত্যু তা এখনই বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে। সিসিটিভি এবং মোবাইল ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

উদ্ধার হওয়া দেহগুলির মধ্যে পরিবারের বড় বউ সুদেষ্ণা দে-র কবজিতে ক্ষত, ছোট বউ রোমি দে-র গলায় ক্ষত রয়েছে। প্রসূনের মেয়ে প্রিয়ম্বদা দে-র পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মারা হয়েছে বলে খবর। তিনতলার ঘর থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়েছে। তবে রক্ত ছড়িয়েছিল গোটা বাড়িতেই। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রসূন দে-র হাতে দাগ ছিল। আবার প্রণয় দে-র ছেলে প্রতিপ গাড়িতে ছিল। তার হাতেও দাগ। ওই ছুরির আঘাতেই কি দুজনের হাতে  দাগ তৈরি হয়েছিল?

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বাড়ি অন্ধকার ছিল। দে পরিবারের চামড়ার ব্যবসা। চামড়ার কারখানার শ্রমিকদের বেতন নিয়ে সমস্যা চলছিল। ২৩ লক্ষ টাকার চেক বাউন্স হয় দে পরিবারের। বাজারেও ৩০ লক্ষ টাকার দেনা হয়েছিল। সেই আর্থিক টানাপোড়েনের জেরেই কি এই হত্যাকাণ্ড, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিন সকালে ট্যাংরার বাড়ির দুটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় ২ মহিলার হাতের শিরাকাটা রক্তাক্ত দেহ। পাশের ঘরে মৃত অবস্থায় পড়েছিল এক নাবালিকা। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। ওইদিন গড়ফা থানা এলাকায় মেট্রোর পিলারে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। ২ ভাই জখম হন, নাম প্রসূন ও প্রণয় দে। সঙ্গে ছিল প্রণয়ের ছেলে প্রতিপও।  রাতেই তাঁদের রুবির কাছে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কীভাবে দুর্ঘটনা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই দুই যুবক জানান, তাঁরা সপরিবারে নাকি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।পুলিশের দাবি, ওই যুবকরা জানিয়েছেন, তাঁদের দুজনের স্ত্রীরা বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যু হয়েছে পরিবারের নাবালিকা সন্তানেরও। তারপরই আত্মহত্যা করতেই নাকি বাড়ি ছেড়েছিলেন দুই ভাই। কিন্তু কপালজোরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। কিন্তু এই ঘটনা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement