কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ভর সন্ধেবেলা কৈখালির এক ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ড। বেশিরভাগ বাসিন্দা বাইরে থাকায় প্রাণহানি না হলেও, পুড়ে গিয়েছে ঝুপড়ির অধিকাংশ ঘর। আগুনের ধোঁয়ায় আটকে ঘরে পড়েন এক বৃদ্ধ। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভরতি স্থানীয় হাসপাতালে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন।
ভিআইপি রোড থেকে কিছুটা বাঁদিকে গেলেই ভাঁড় কোম্পানির গলি। এখানেই ৫ কাঠা জমির ওপর রয়েছে একটি ঝুপড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝুপড়িতে সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ আচমকাই আগুন লেগে যায়। ঝুপড়ির সংকীর্ণ জায়গায় নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সেসময় বেশিরভাগ মানুষই বাইরে ছিলেন। যাঁরা নিজেদের ঘরে ছিলেন, আগুন দেখে বাইরের নিরাপদ জায়গায় বেরিয়ে আসেন। তাঁরাই জানান, এক বৃদ্ধ আটকে পড়েছিলেন ঘরের ভিতরে। তাঁকে কোনওক্রমে উদ্ধার করে বাইরে আনার পর দেখা যায়, তিনি প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এরপর ওই বৃদ্ধকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদারকি করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তবে কীভাবে আগুন লাগল, এখনও তার উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দমকল সূত্রে খবর।
[২৪ সপ্তাহে গর্ভপাতের আরজি, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তলব আদালতের]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৫ কাঠা জমি নিয়ে সম্প্রতি সমস্যা হচ্ছে। প্রোমোটিংয়ের জন্য জমির মালিক জমি খালি করে ঝুপড়িবাসীকে উচ্ছেদ করতে চাইছেন বলে তাঁদের একাংশের অভিযোগ। এনিয়ে একাধিকবার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা লেগেই থাকে। এসব জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনাও সম্ভব হয় না। কৈখালির ভাঁড় কোম্পানির গলির আগুনও সেভাবেই পুড়িয়ে দিয়েছে অনেকের আশ্রয়টুকু। মাথার ওপর ছাদ হারিয়ে, এই শীতের রাতে অনেকেই পথে বসেছেন। তবে প্রশাসনের তরফে যথাযথ পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.