Advertisement
Advertisement
কলকাতা পুরসভা

কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে ফিরহাদ হাকিম! জল্পনা উসকে তোপ স্বপন দাশগুপ্তর    

'প্রশাসক পদে তৃণমূল নেতাদের বসাতে চায় সরকার', তোপ বিজেপি সাংসদের।

Firhad Hakim may be appointed as KMC administrator
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 5, 2020 4:34 pm
  • Updated:May 5, 2020 4:34 pm

সৌম্য মুখোপাধ্যায়: করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত দেশ। শহর কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে ‘কন্টেনমেন্ট জোন’-এর সংখ্যা। তবুও কোভিড-১৯-এর থাবা কিছুতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে, আগামী ৭ মে মেয়াদ ফুরোতে চলেছে কলকাতা পুরসভার। বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই পুরভোট হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সূত্রের খবর, তারপরে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসতে চলেছেন কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

[আরও পড়ুন: যোগব্যায়াম ও হোমিওপ্যাথিকে হাতিয়ার করেই করোনা যুদ্ধে অবতীর্ণ কলকাতা পুলিশ]

রাজ্য সরকারের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে তোপ দেগেছে বিজেপি। দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “পুরসভার মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক বসানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। করোনা মহামারির জেরে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঠিকই, তবে সেক্ষেত্রে কোনও আইএএস আধিকারিককে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। কারণ তাঁরা দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে নিজেদের সার্ভিস রুল মেনে কাজ করবেন। এবং তাঁদের দায়বদ্ধতা থাকবে। কিন্তু বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁকে প্রশাসক করা মানে পুরসভার রাশ শাসকদলের হাতে থাকা। ফলে এই বিষয়টা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।” তিনি আরও বলেন, ” কলকাতা পুরসভা এবং এন্য ৯৩ টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ মে। কিন্তু সেই জায়গাগুলিতে সরকারি আধিকারিককে দায়িত্ব না দিয়ে প্রশাসক পদে তৃণমূল নেতাদের বসাতে চায় সরকার। ২০২১-এর পরে বিরোধী আসনে বসবে তৃণমূল।”

Advertisement

এদিকে, নবান্ন সূত্রে খবর বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসাতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মার্চে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দেশব্যাপী লকডাউন চালু হয়ে যায়। ফলে তখনই কার্যত স্থির হয়ে যায় এবার নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সরকারের তরফে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হবে, যাতে লকডাউন চলাকালীন পুরসভার সকল কাউন্সিলরদের মেয়াদ বাড়ানো যায়। এমনটাই জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক। যদিও এই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু নবান্ন-রাজভবনের মধ্যে চলা সংঘাতের আবহে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।    

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের কোপে পরিচারিকারা, কাজ হারিয়ে রেশনের ভরসায় দিনযাপন তাঁদের]                    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ