ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: জেলার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। কিন্তু সেখানে পরিষেবা ফাঁকি দিয়ে শহরে এসে মিটিং-মিছিল করছেন। বাংলার উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে একাধিক এমন বাম-অতিবাম চিকিৎসকের নাম উঠে এল প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কার্যনির্বাহী সভায়।
জানুয়ারির শেষে যে সংগঠন পথ চলা শুরু করেছিল, শনিবার ছিল তাদের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা। সেখানেই জেলা থেকে আসা একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ-সহ একাধিক হাসপাতালের জনাকয়েক চিকিৎসক সরকারি পরিষেবায় ফাঁকি দিয়ে শহরে এসে মিছিল করছেন। একদিকে নিজেরা সরকারি পরিষেবা ফাঁকি দিচ্ছেন। আবার মিছিল করে সরকারের ব্যর্থতার গল্প শোনাচ্ছেন।” তেমন কিছু নামও জমা পড়েছে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সম্পাদকের কাছে।
জেলা হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, তৃণমূল ছাত্রপরিষদ করার জন্য বাম-অতিবামদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের। ডা. শশী পাঁজা এদিন জানিয়েছেন, এই সমস্ত বিষয়ের আশু সমাধান করতে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাপ্তি বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিটি জেলা থেকে মডার্ন মেডিসিন, নার্সিং শাখার নার্স, ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক শাখার চিকিৎসকদের নাম নেওয়া হচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় কমিটি গড়বে প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন। এদিন সভায় ছিলেন ডা. মানস ভুঁইয়া, ডা. শশী পাঁজা, ডা. করবী বড়াল, ডা. পূজা মৈত্র, ডা. শিল্পা বসু রায়-সহ সকলেই। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের একমাত্র সংগঠন এই প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন।
প্রথম দিনই জানানো হয়েছিল, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের যে কেউ অনলাইনে সদস্য হতে আবেদন করতে পারেন। মেল আইডি [email protected]। শনিবার জানা গেল, ইতিমধ্যেই সদস্য হতে উপচে পড়ছে আবেদন। নার্সিং শাখার নার্সরা, ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক শাখার চিকিৎসকরাও আবেদন করছেন সদস্য হতে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশী পাঁজা জানান, ২৭ জানুয়ারি সংগঠন পা রাখার পর থেকেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আলোড়ন তৈরি হয়। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটকেও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেই এগোতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.