কলহার মুখোপাধ্যায়: ভোর থেকে তিনটি উড়ান বাতিলের জেরে তীব্র বিশৃঙ্খলা দমদম বিমানবন্দরে। বেলা গড়িয়ে গেলেও, অশান্তি সামাল দেওয়া যায়নি। বিমানবন্দরের ভিতরেই যাত্রীদের বিক্ষোভ। সবমিলিয়ে, সপ্তাহের প্রথম দিনই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
ঘটনার সূত্রপাত ভোর তিনটে পঁয়তাল্লিশ নাগাদ। ওই সময়ে গো-এয়ার সংস্থার হায়দরাবাদগামী একটি বিমান উড়ানের কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যাত্রীদের কানে আসে যে খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিমানটি বাতিল হয়েছে। তখন থেকেই তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। এরপর বিমানবন্দর সূত্রে খবর মেলে, যে বিমানটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ৬.৫৮ নাগাদ আমেদাবাদগামী এবং ৭.২৮এর গুয়াহাটিগামী বিমানও পরপর বাতিল ঘোষণা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক রেষারেষির জের, গার্ডেনরিচের জমজমাট রাস্তায় যুবককে গুলি]
এতে একেবারে আগুনে ঘি পড়ে। তিনটি বিমানের প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো জন যাত্রী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কীভাবে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছবেন, টিকিটের কী হবে – তাঁদের নানা প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে পড়ে দমদম বিমানবন্দরের কর্মীরা। বিমান সংস্থা গো-এয়ারের তরফে জানানো হয়, আভ্যন্তরীণ কয়েকটি কারণে তাঁদের তিনটি বিমান বাতিল করতে বলা হয়েছে। এমনকী তাঁরাও এও জানায় যে চাইলে যাত্রীরা অন্য বিমানে গন্তব্যে যেতে পারেন এবং সেখানে টিকিটের টাকাও সেক্ষেত্রে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু যাত্রীরা এই প্রস্তাব মানতে চান না। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে বেলা গড়িয়ে যায়। বারোটা নাগাদ প্রথম বিমানটি হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমেদাবাদ ও গুয়াহাটিগামী দুটি বিমান দুপুর তিনটের আশেপাশে ছাড়া হবে বলে ঘোষণা করেছে গো-এয়ার কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বিমান সংস্থার কর্মীদের ডিউটি রস্টার নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ায় তিনটি বিমান বাতিল করতে হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁরা সমর্থ হন। সপ্তাহের প্রথম দিন বিমানবন্দরে এমন এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জেরে তাল কিছুটা কেটে গেল।