Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

রোগীকে কম খাবার দিয়ে বাকিটা বাইরে বিক্রি! প্রকাশ্যে মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি

লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কিচেন সুপারের।

Food meant for patients sold to outsiders at Calcutta Medical College
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 1, 2019 5:04 pm
  • Updated:December 1, 2019 5:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসার আক্রান্ত রোগীকে দিনভর বাইরে ফেলে রাখার পর এবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মুখ পুড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। অভিযোগ, রোগীর জন্য বরাদ্দ খাবার থেকে চুরি করে রোগীর আত্মীয়দের কাছেই তা বিক্রি করা হচ্ছে। রোগীর এক আত্মীয় এই ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করার ফলে, প্রকাশ্যে এসেছে এই দুর্নীতি। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিন কয়েক আগেই ক্যানসার আক্রান্ত এক কিশোরকে জরুরি ভিত্তিতে ভরতি না হয়ে রাতভর বাইরে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরে খবর জানাজানি হতে, চাপে পড়ে ভরতি নেওয়া হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রোগীর খাবার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ মূলত দুটি। প্রথমত, রোগীদের জন্য যে পরিমাণ খাবার বরাদ্দ, তার কম খাবার দেওয়া হচ্ছে। দুপুরের ভাত থেকে শুরু করে সবজি, মাছ বা মাংস – সবের পরিমাণ কম। আর দ্বিতীয় অভিযোগ, হাসপাতালেরই রান্নাঘরে তৈরি সেই খাবার বাইরে, রোগীর আত্মীয়দের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে, কিছুটা কম দামে।

[আরও পড়ুন: যাত্রী পরিষেবায় নয়া উদ্যোগ, মেট্রোর সব রেকই এসি করার ভাবনা কর্তৃপক্ষের]

রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল, রোগীকে দেওয়া খাবারের পরিমাণ কম। প্রথমদিকে ব্যপারটা বুঝতে না পারলেও, ওয়ার্ডের বাইরে হাসপাতাল চত্বরে অন্য আরেকটি দৃশ্যে সন্দেহ বাড়তে থাকে। দেখা যায়, জনৈক ব্যক্তি প্যাকেটবন্দি খাবার হাতে রোগীর আত্মীয়দের কাছে তা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। দামও বাইরের তুলনায় কম। অর্থাৎ মাত্র ২০ টাকায় ভাত, ডাল, তরকারি, ডিম বা কখনও ৫০ টাকায় সারাদিনের খাবার দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি কিছুদিন খেয়াল করার পর এক রোগীর আত্মীয় বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করে রাখেন। তারপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁদের এও অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রান্নাঘর থেকেই খাবার বাইরে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে সবই বিনামূল্যে পাওয়ার কথা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাস্তা মেরামতের দাবি ঘিরে উত্তপ্ত নারায়ণপুর, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত ১৩]

হাসপাতালের কিচেন সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি প্রথমে কিছু জানেন না বলে প্রতিক্রিয়া দেন। পরে তিনি বলেন যে হয়ত কিচেন থেকে কর্মীরাই কেউ কম দামে খাবার বিক্রিতে যুক্ত থাকতে পারে। তিনি লিখিত কোনও অভিযোগ পাননি। তা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারি হাসপাতালের এই দুর্নীতির ছবি সামনে আসায় ভরসা কমছে রোগীর আত্মীয়দের।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ