Advertisement
Advertisement

Breaking News

Funeral

কাটল আইনি জট, অবশেষে ২ বছর পর দাহ হল আনন্দপুরের বাসিন্দার দেহ

পরিজন বনাম পরিচারিকার অধিকারের লড়াইয়ে এতদিন আটকে ছিল দাহকাজ।

Funeral of dead person at Anandapur performed after two years of legal complications | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 15, 2022 8:59 am
  • Updated:July 15, 2022 9:00 am

রাহুল রায়: আইনি জট কাটিয়ে অবশেষে দু’বছর পর দাহ করা হল আনন্দপুরের (Anandapur) বাসিন্দা দেবাশিস দাসের দেহ। এতদিন ধরে মৃতদেহটি এনআরএসের (NRS) মর্গে বন্দি ছিল। আদালতের নির্দেশমতো দু’পক্ষের উপস্থিতিতে বুধবার রাতে কেওড়াতলা শ্মশানে দেবাশিসবাবুর দেহটি দাহ হয়।

Advertisement

দেহ সৎকারের দাবিদার কে? এই প্রশ্ন নিয়ে লড়াইটা ছিল মৃতের পরিজন বনাম পরিচারিকার। আর শুধুমাত্র তা নিয়েই টানাপোড়নের জেরেই ২০২০ সালের ১১ জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত এনআরএস হাসপাতালের মর্গেই পড়ে ছিল মৃতদেহ। গত ৬ জুলাই সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে সৎকারের অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি শম্পা সরকার। এবং পুলিশকে সহযোগিতার নির্দেশ ছিল আদালতের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কোনও শব্দকেই নিষিদ্ধ করা হয়নি সংসদে’, বিতর্কের মধ্যেই জানালেন লোকসভার স্পিকার]

সেইমতো গত সোমবার দেহ দাহ করার জন্য আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দেহ দেওয়া হয়। কিন্তু কোন শ্মশানে দাহ হবে, তা নিয়েও বাঁধে দ্বন্দ্ব। একপক্ষের দাবি, নিমতলা শ্মশানে দাহ হোক। অন্যপক্ষ চাইছিল, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে হোক শেষকৃত্য। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে কাটে সেই জটিলতাও। জানা গিয়েছে, দু’পক্ষই আলাদা আলাদা করে দেবাশিসবাবুর শ্রাদ্ধশান্তি করবে।

[আরও পড়ুন: ‘সব বদলে দিচ্ছে, দেশের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ’, কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের]

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১১ জুলাই হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়ে মারা যান আনন্দপুরের মাদুরদহের বাসিন্দা বছর আটান্নর দেবাশিস দাস। সেই থেকে এনআরএস হাসপাতালের মর্গেই পড়ে ছিল মৃতদেহ। অবিবাহিত দেবাশিসবাবু বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাই বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর কার্যত একা হয়ে যান তিনি। তাই দেবাশিসবাবুর মৃত্যুর পর তাঁকে যিনি দেখাশোনা করতেন, বাড়ির ১৭ বছরের পরিচারিকা চন্দ্রমণি মণ্ডল সৎকারের জন্য দেহ দাবি করেন। কিন্তু তিনি পরিবারের কেউ না হওয়ায় হাসপাতাল তাঁকে মৃতদেহ দিতে রাজি হয়নি। নিজেকে মৃত দেবাশিস দাসের পরিজন বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন বেলেঘাটার বাসিন্দা আনন্দ ঘোষ। সেই থেকেই মামলার শুনানি চলে। অবশেষে নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি শম্পা সরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ