পলাশ পাত্র, তেহট্ট: জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিকে ভেঙে তুলে থুতু, কফ, প্রস্রাব, দুর্গন্ধের আবর্জনার মধ্যে ফেলে রাখা হল। সারা রাত পড়ে থাকার পর সোমবার অন্ধকার থাকতেই মূর্তিটিকে সরিয়ে ফেলা হয়। নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরির এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ ও স্থানীয় বিধায়ক কল্লোল খাঁ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে যুক্ত ঠিকাদারদের শাস্তি দাবি করছি। বিষয়টি আমি সর্বোচ্চ স্তরে জানাচ্ছি।’
প্রায় পঁচিশ বছর ধরে জাতীয় সড়কের উপর কংক্রিটের মহাত্মা গান্ধীর এই মূর্তিটি রয়েছে। বেথুয়াডহরিতে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই মূর্তিতে মালাও দিয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করেন। বেথুয়াডহরির এক পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থাকা এই মূর্তিটি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এক সময় তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বুলডোজার দিয়ে ভাঙার কাজ হচ্ছে। রবিবারও কাজ চলছিল। এই সড়কের উপর গান্ধীজির মূর্তি ছাড়াও রয়েছে নেতাজী ও ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মূর্তির বিষয়ে আগেই সচেতন করে দেওয়া হয় এস ই ডব্লিউ (SEW) ঠিকাদারদের। তার পরও কি করে গান্ধীজির মূর্তি ভেঙে নোংরা আবর্জনার মধ্যে ফেলে রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কর্মরত ঠিকাদাররা কি এর মানে বোঝে না! নাকি এর পেছনে অন্য কোন বিষয় রয়েছে তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ভাঙার সময় আশপাশের কিছু ছোট ব্যবসায়ী এ নিয়ে প্রথমে প্রতিবাদ করেন। পরে বিষয়টি চাউর হতে মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়। সাদা রঙের ফুট ছয়েকের গান্ধীজির মূর্তিটির লাঠি, ঘাড় ভেঙেছে। রং চটেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও সমর দত্ত বলেন, ‘মূর্তিটি বিডিও অফিসে আমাদের হেফাজতে এনে রাখা হয়েছে। ওই ঠিকাদাররা ক্ষমা চেয়েছে।’ ঘটনা প্রসঙ্গে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘এটা খুব খারাপ কাজ হয়েছে। ওরা কি জানেনা এটা কি হচ্ছে? ওই ঠিকাদারদের শোকজ করা হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.