স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: জি ডি বিড়লা কাণ্ডের পর ফের একই ঘটনার অভিযোগ। আবারও স্কুলের মধ্যে শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরের একটি স্কুলে ক্লাসের মধ্যে পড়ানোর অছিলায় নানা অজুহাতে ওই শিক্ষক শিশুটির শরীরের গোপন অংশে হাত দেয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। জনরোষের হাত থেকে বাঁচাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে তাকে আটকে রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে বারাসত থানার পুলিশ ও র্যাফ এসে সুকণ্ঠকুমার মণ্ডল নামে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[রেলের ক্যান্টিনে মদ্যপানের আসর টিকিট পরীক্ষকদের, তুলকালাম হাওড়ায়]
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকের যৌন নির্যাতন মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছিল শিশুটি। এসব কথা বললে শিশুটিকে স্কেল দিয়ে মারার ভয় দেখিয়েছিল ওই শিক্ষক। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সকালে স্কুলের যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুটি। শিশুটি জানায়, শীতে ঠিকঠাক জামাকাপড় পরেছে কি না তা দেখার নামে শার্টের মধ্য দিয়ে হাত ঢুকিয়ে সারা শরীরে হাত বোলায় ওই শিক্ষক। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই শিশুর অভিভাবকরা। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলে যান তাঁরা। সরব হন অন্য অভিভাবকরাও। অনেকেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। ব্যাপক উত্তজেনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে র্যাফ নামে।
[শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অচলাবস্থা কাটল হাওড়ার বিনোদিনী বিদ্যাভবনে]
সুকণ্ঠ মণ্ডলের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকা দীপালিকা অধিকারী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। অপরাধ করে থাকলে আমরা তার শাস্তি চাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
[মাটিতেই জ্বলছে আগুন, দামোদরের চরে জমে উঠেছে পিকনিক]