Advertisement
Advertisement

অভিভাবকদের চাপে ‘অপসারিত’ প্রিন্সিপাল, বৃহস্পতিবারই খুলছে জি ডি বিড়লা স্কুল

আমাদের এই আন্দোলন দেশ মনে রাখবে, দাবি অভিভাবক ফোরামের।

gd birla school: guardians divided on suspension of class issue
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 6, 2017 12:55 pm
  • Updated:September 20, 2019 6:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছয়দিনের আন্দোলনের শেষে অভিভাবকদের চাপে পড়ে অধ্যক্ষাকে ‘অপসারণ’ করছে জি ডি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল আর স্কুলে আসবেন না। স্কুলও খুলবে স্বাভাবিক নিয়মেই। স্কুল খোলার খবর শুনেই খুশিতে ফেটে পড়েন অভিভাবকদের একাংশ। সদর্থক ভূমিকার জন্য পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তবে বরখাস্ত করা হয়নি শর্মিলা নাথকে, সাময়িক ছুটিতে পাঠান হল তাঁকে। আপাতত স্কুলের দায়িত্বে থাকবেন দুই ভাইস-প্রিন্সিপাল।

[জি ডি বিড়লা কাণ্ডে নির্যাতিতা শিশুর মেডিক্যাল টেস্ট এসএসকেএম-এ]

বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ অভিভাবকদের ফোরামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ভিতরে যখন বৈঠক চলছিল, তখনই স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের মধ্যেই কয়েকজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পুলিশকে মাঝে দাঁড়িয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করতে হয়। বস্তুত, স্কুল খোলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন অভিভাবকরাই। একাংশ স্কুল খোলার পক্ষে মত দেন। তাঁদের দাবি, ছোটদের ক্লাস কয়েকদিন বন্ধ হলে ক্ষতি হবে না। কিন্তু বড়দের জন্য ক্লাস চলুক, খুলুক স্কুল। তাই ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত স্কুল দরকার হলে বন্ধ থাক, কিন্তু স্কুলের সিনিয়র সেকশন খুলে দেওয়া হোক। অপরদিকে কয়েকজন অভিভাবক দাবি করেন, আগে প্রিন্সিপালকে সরানো হবে, তারপর স্কুল খুলুক। নির্যাতিত বাচ্চাটি আগে বিচার পাক। প্রয়োজনে স্কুল কয়েকদিন বন্ধ থাক। কয়েকজন অভিভাবক আবার বলছেন, এটা স্কুল কর্তৃপক্ষেরই কীর্তি। অভিভাবকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে মূল বিতর্ক থেকে সকলের নজর ঘোরাতে চাইছে স্কুল ম্যানেজমেন্ট। এর আগেও নাকি এরকম চেষ্টা হয়েছিল। তবে এদিনে দিনের শেষে স্কুল খোলার খবর ও প্রিন্সিপাল সরছেন শুনে উত্তেজনা খানিকটা প্রশমিত হয়।

[স্কুল বন্ধ হবে না, জি ডি বিড়লা কাণ্ডে রাজনীতিতে আপত্তি মমতার]

জিডি বিড়লা কাণ্ডে অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, সামনেই আইএসসি এবং আইসিএসই বোর্ডের পরীক্ষা রয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত স্কুল খোলা খুবই জরুরি, বলছেন একাংশের অভিভাবকরা। অপরপক্ষের অভিভাবকদেরই একাংশ বলছেন, স্কুল যদি পড়ুয়াদের নিরাপত্তাই না দিতে পারে, তাহলে কোন ভরসায় তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন? এদিন রাত পর্যন্ত অভিভাবকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় স্কুল চত্বরের পরিবেশ রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ছিল।

[নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, ফের বিতর্কে জি ডি বিড়লার প্রিন্সিপাল]

এদিকে আজও জি ডি বিড়লা স্কুলে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে আরও চারজনের বয়ান রেকর্ড করল পুলিশ। এদিন লালবাজারে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ক্লাস টিচার, আয়া, নিরাপত্তারক্ষী ও সাফাইকর্মীকে। প্রায় ঘন্টাখানেক তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন, শিশুটির দায়িত্ব যে আয়ার উপর ছিল, তিনি কোথায় ছিলেন, জানতে চায় পুলিশ। মঙ্গলবার স্কুলের প্রিন্সিপালকে ম্যারাথন জেরার পরও কিছু তথ্য অস্পষ্ট ছিল। আজ ওই চারজনকে ডেকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানতে চায় পুলিশ।

[গোয়েন্দাদের জেরায় ভেঙে পড়লেন ‘ডাকাবুকো’ প্রিন্সিপাল শর্মিলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ