Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান

‘সাতদিন সময় দিন, কলকাতাকে সচল করে দেব’, আশ্বস্ত করলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ

'আমার কাছে জাদুদণ্ড নেই, একটু সময় লাগবে', মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের

Give me 7 days, will restore normalcy in Kolkata: Firhad Hakim
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:May 22, 2020 4:31 pm
  • Updated:May 22, 2020 4:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সাতদিন সময় দিন, তার মধ্যে কলকাতাকে সচল করে দেব।’ ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে আশ্বাস দিলেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শহর কলকাতায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন। তা নিয়েও আশ্বস্ত করেছেন ফিরহাদ। জানিয়েছেন, ‘সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার নাহলে আগামিকাল, শনিবারের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ জুড়ে দেওয়া হবে। শনিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা মিটে যাবে। দরকার পড়লে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আমি কাজ শেষ করব।’

প্রসঙ্গত, আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে সিইএসসি-পুরসভা সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য একে অপরের দিকে দোষারোপ করছে সিইএসসি ও কলকাতা পুরসভা। ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘এত বড় বিপর্যয় হবে কে ভেবেছিল। কেউই প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু এখন ঝগড়া করার সময় ন। আমার কাছে জাদুদণ্ড নেই। যে আমি ম্যাজিক করে সব ঠিক করে দেব। কেউই পারবে না। আমিও সিইএসসিকে বলেছি, পারস্পরিক দোষারোপ করার সময় নয়। গাছ কাটা নিয়ে দুই কর্তৃপক্ষই মিলে কাজ করতে হবে। সিইএসসি কলকাতা পুরসভার অধীনে নয়। তাই আমরা আজ সমন্বয় বৈঠক করে সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা করছি।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দুর্গতদের অ্যাকাউন্টে যেন সরাসরি টাকা দেওয়া হয়’, মোদিকে চিঠিতে আরজি দিলীপের]

এদিন কলকাতা পুরসভায় সিইএসসি কর্তৃপক্ষ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বৈঠক হয়। কলকাতার যে সমস্ত এলাকা বিদ্যুৎহীন সেখানে দ্রুত যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয় তার জন্য সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আয়লার পর ওড়িশা দেড় মাস সময় নিয়েছিল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে। একটু সময় তো দিতেই হবে। অনন্ত সাতদিন লাগবে কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে। ফের সচল করতে হলে এই সময়টুকু দিতেই হবে।’ জমা জল নিয়ে কলকাতা পুরসভার উপর ক্ষোভ বেড়েছে মানুষের। দু্র্যোগের ৪৮ ঘণ্টা পরও এখনও কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। তা নিয়ে ফিরহাদের দাবি, খিদিরপুর, মোমিনপুর ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের কিছু অঞ্চল ছাড়া কোথাও জল নেই।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ