শুভময় মণ্ডল: দমদম পার্ক এলাকাতে এবার দুুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় আহত তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ প্রসাদ। জানা গিয়েছে, দক্ষিন দমদম এলাকার যুবনেতা এই বিশ্বজিৎ স্থানীয় দমদম পার্ক তরুণ দলের সভাপতি। এদিন সন্ধ্যায় তিনি তার সঙ্গীদের সঙ্গে তরুণ দলের পুজোর স্থান সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় বাইকে করে তিন দুষ্কৃতী আসে ঘটনাস্থলে। তারাই কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বিশ্বজিৎকে লক্ষ্য করে। তারপর বোমাবাজি করে। বোমার স্প্লিন্টার লাগে বিশ্বজিতের পায়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্বজিৎ পড়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিশ্বজিৎকে দেখতে যান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বোস।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করার পরে লেকটাউন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল ভাল করে পরীক্ষা করে। তখনই সেই জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি তাজা বোমা সহ দুটি পিস্তল। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তাদের দাবি, দুষ্কৃতীরা পালাতে গিয়ে বোমা ছোঁড়ার চেষ্টা করছিল। তখনই একটি বোমা পড়ে গিয়েছিল। যেটি ফাটেনি। পরে পুলিশ সেই বোমাই উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বিশ্বজিতের ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। সেখান থেকেই এই ঘটনার পিছনে জড়িয়ে থাকা কারণ জানার চেষ্টা করছে লেকটাউন থানার পুলিশ। তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই জায়গায় কয়েক দিন ধরেই বহিরাগত বেশ কিছু যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। তারা বেশ কিছু বিষয়ে নজর রাখছিল বলেই স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ফলে বিশ্বজিতের এই ঘটনার পিছনে পূর্ব পরিকল্পনার তথ্য উঠে আসছে।
এলাকার বাসিন্দারা আরও দাবি করেছেন এলাকা দখল নিয়ে অনেক দিন ধরেই একটা চাপা উত্তেজনা চলছিল। এই জায়গাটি দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের সংগঠনের অন্তর্গত। সেই জায়গায় এবার পুজো দখল করাকে কেন্দ্র করেও বেশ চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। তবে এলাকার বাসিন্দারা সেই বিষয়টি হতে দেননি। কিন্তু তারপরে এদিনের ওই ঘটনায় কার্যত অবাক গোটা পাড়া।