সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫৪ দিনের মাথায় হুগলির গুড়াপের শিশু ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। চুঁচুড়া পকসো আদালতের রায়ের পরই X হ্যান্ডেলে বিচারব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুনিয়ায় ধর্ষকের কোনও জায়গা নেই বলেই হুঙ্কার তাঁর। বাংলায় নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও আপস নয় বলেই জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা লেখেন, “আদালত গুড়াপ শিশু ধর্ষণ-খুনে দোষীর ফাঁসির সাজা দিয়েছেন বিচারক। বিচারব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাই। দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে মাত্র ৫৪ দিনের মধ্যে তদন্ত করার জন্য হুগলি গ্রামীণ পুলিশকেও ধন্যবাদ জানাই। পরিবারের জন্য সমব্যথী। ধর্ষকের এই দুনিয়ায় কোনও জায়গা নেই। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় একটি শিশুর বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি আমরা। কোনও অপরাধীই আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।”
Today, the Court has pronounced death sentence for the convict who had raped and murdered the small girl of Gurap and I thank the Judiciary for that.
I thank Hooghly Rural District Police for their swift action and thorough probe that ensured speedy trial and conviction in 54…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 17, 2025
নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে দ্রুত সুবিচারে প্রশাসনের ভূমিকার ঢালাও প্রশংসা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি X হ্যান্ডেলে লেখেন, “পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে হুগলির গ্রামীণ পুলিশ ঘৃণ্য ঘটনার তদন্ত করেছে। মাত্র ৫৪ দিনের মধ্যে শিশু ধর্ষণ-খুনে মৃত্যুদণ্ডের সাজায় নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।” নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথাও উল্লেখ করেন অভিষেক।
In Bengal, JUSTICE is delivered SWIFTLY, DECISIVELY and UNCOMPROMISINGLY.
Today, the Hooghly POCSO Court pronounced the death sentence for the perpetrator responsible for the heinous rape and murder of a minor girl from Gurap. I congratulate the Hooghly Rural District Police…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) January 17, 2025
উল্লেখ্য, ঘটনা ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বরের। গুড়াপের একটি গ্রামে শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। শিশু বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে প্রতিবেশী অশোক সিংয়ের বাড়ি থেকে কম্বল চাপা অবস্থায় মেলে তার রক্তাক্ত দেহ। প্রতক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধার করার সময় নাবালিকা বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। তাকে হত্যা করে কম্বল, মশারি, কাঠ চাপা দিয়ে ঘরে মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল অশোক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেপ্তার হয় প্রতিবেশী অশোক সিং।
এই ঘটনায় হুগলির পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছিল জেলা পুলিশ। অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। এই মামলায় ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১১ তারিখ চার্জ গঠন হয়। মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত বুধবার, ১৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত অশোক সিংকে দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়া পকসো আদালতের বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী। আর শুক্রবার ন্যক্কারজনক কাজের জন্য অশোকের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.