সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ। রাতভর দফায় দফায় পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ-এ ভাঙচুর চালালেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। ভাঙচুর চলল শিশু বিভাগের আইসিইউতেও। আতঙ্কে অন্য রোগী ও তাদের পরিবারের লোকেরা। হাসপাতালে মোতায়েন প্রচুর পুলিশকর্মী।
[ ফের শহরে ‘স্কিমার’ আতঙ্ক, মহিলা পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা]
বছর চারেকের সানা সাজ্জাদের বাড়িতে পার্ক সার্কাসেই। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে আচমকাই জ্বর আসে সানার। বমিও করছিল সে। তড়িঘড়ি সানাকে নিয়ে আসা হয় ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতালে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল শিশুটিকে। রাত দুটো নাগাদ মারা যায় সানা। অথচ তিনটের সময়ে বাড়ির লোককে ওষুধ কিনে আনতে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাতভর দফায় দফায় হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় সানা সাজ্জাদের বাড়ির লোকেরা। এমনকী, শিশু বিভাগের আইসিইউতে ঢুকে পড়েন তারা। সেখানেও চলে ভাঙচুর। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে হাসপাতালের অন্য রোগী ও পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু রোগীদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। বৃহস্পতিবার সকালেও ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ-এর পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে। মোতায়েন প্রচুর পুলিশ।
এদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, রাতে যখন সানাকে হাসপাতালে আনা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। সেপ্টিসেমিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল শরীরে। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
[ হৃদ স্পন্দনের তালে হেঁচকি, ওপার বাংলার যুবকের প্রাণ বাঁচাল এসএসকেএম]