ছবি - প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই এলাকার একাধিক মহিলার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ছিল। ঠিক নগ্ন ছবি নয়। কোনও নগ্ন মহিলার ছবিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জুড়ে দেওয়া হচ্ছিল চেনা মহিলাদের মুখ। আর তাতেই বাড়ছিল বিপত্তি। নগ্ন ছবি হিসেবে তা ছড়িয়ে পড়ার পর পাড়ায় মুখে দেখাতে পারছিলেন মহিলারা। এই কাণ্ডে এবার সাইবার ক্রাইমের জালে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত বিনোদ সোরেন।
[ কলকাতাকে টেক্কা জেলার, বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনায় সেজে উঠল ফুলিয়া ]
ঘটনা হাওড়ার জগাছায়। ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছিল চেনা মহিলাদের সুপার ইম্পোজ করা নগ্ন ছবি। প্রথমে কলেজ পড়ুয়া, তারপর গৃহবধূদের। এলাকার প্রায় কেউই রেহাই পাননি। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁরা নগ্ন ছবি তোলেননি। সুতরাং কেউ যে বদমায়েশি করে এ কাজ করছিলেন তা স্পষ্ট। কোনও কোনও মহিলা ব্যক্তিগত শত্রুতার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সে যুক্তিও টেকেনি। কারণ চেনা প্রায় ২৩ জন মহিলার এরকম ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। মোবাইল থেকে মোবাইলে তা ঘুরতে থাকায় ঘোর বিপদে পড়েছিলেন মহিলারা। তাঁদের দাবি ছিল, পুলিশ এই ছবিগুলি কোনওভাবে ডিলিট করার ব্যবস্থা করুক। অন্যথায় পাড়ায় মুখ দেখানো যাচ্ছে না। তদন্তে নামে জগাছা থানার পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম বিভাগ। পুলিশের অনুমান ছিল যেহেতু স্থানীয় মহিলাদেরই ছবি ছড়ানো হচ্ছে, তাই দুষ্কৃতী স্থানীয় কোনও ব্যক্তি। বা সক্রিয় স্থানিক কোনও চক্র। ছবিগুলির সূত্র ধরেই সূত্রে পৌঁছান গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তার করা হয় বিনোদ সোরনকে। জানা যাচ্ছে, সে মাল্টি মিডিয়ার ছাত্র। স্টুডিওতে মহিলাদের ছবি তুলত সে। ছবিগুলো নিজের কাছে রেখে দিত। পরে চলত সুপার ইম্পোজের কারসাজি। ফেসবুক থেকেও ছবি নিত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বিনোদের ল্যাপটপ ও ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার থেকে প্রচুর অশ্লীল ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কেন, কোন উদ্দেশ্যে সে এই কাজ করে চলেছিল তা এখনও জানা যায়নি। কোনও প্রতিহিংসার কারণে, নাকি স্রেফ খেয়ালের বশে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে এ কাজ করেছে সে, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
[ লুটের উদ্দেশ্যে জাহাজে হামলা জলদস্যুদের, রক্ষাকর্তা উপকূলরক্ষী বাহিনী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.