অরিজিৎ সাহা: ব্যস্ত রাস্তায় তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে আইন ভেঙেছে অ্যাম্বুল্যান্স চালক। কিন্তু, রোগী তো আর কোনও দোষ করেননি! বরং হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলে তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে। তাই অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীকে পাঠানো হল হাসপাতালে। আর যে অ্যাম্বুল্যান্স ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই অ্যাম্বুল্যান্স ও তার চালককে আটক করল ট্রাফিক পুলিশ। মানবিকতার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা।
[ অন্তরার রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়, মিলল সুরজিতের প্রেমিকার খোঁজ]
রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে দিতে হবে। অতএব আর পাঁচটি গাড়ির থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের গতি সবসময়ই বেশি থাকে। অনেক সময় আবার অন্য গাড়িকে দাঁড় করিয়ে রেখেও অ্যাম্বুল্যান্সকে আগে পার করিয়ে দেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা। কিন্তু, তা বলে ট্রাফিক আইন ভাঙলেও কি রেহাই পাবেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক? আইনে তেমন সংস্থান নেই। কিন্তু, রোগীর কথা চিন্তা করে বহুক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয় না ট্রাফিক পুলিশ। তবে বুধবার সকালে কিন্তু তেমনটা হল না। অ্যাম্বুল্যান্স চালককে আটক করা হল ঠিকই। কিন্তু রোগীকে আটকে থাকতে হল না। বরং ট্রাফিক পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিল।
ঘটনাটি ঠিক কী? বুধবার সকালে হাওড়া থেকে রোগী নিয়ে কলকাতায় আসছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাড়াতাড়ি হাওড়া ব্রিজ পেরোতে গিয়ে ট্রাফিক আইন ভাঙেন চালক। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটকান। কিন্তু রোগীর অবস্থা যে শোচনীয়! তাই কলকাতা পুলিশের ট্রমা কেয়ার ইউনিটের অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে হাসপাতালের পথে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। আর যে অ্যাম্বুল্যান্স করে রোগী আনা হচ্ছিল, সেই অ্যাম্বুল্যান্স ও তার চালককে আটক করা হয়।
দেখুন ভিডিও:
[৬ কোটি টাকা খরচ করে সিঙ্গুরে শহিদ বেদি তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের]