Advertisement
Advertisement

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উড়ল যুদ্ধবিমান, মাঝ আকাশে চলল তুমুল ‘লড়াই’

শহরের আকাশ কাঁপল সুখোইয়ের গর্জনে।

Indian Air Force conducts war drill at Kolkata airport
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 17, 2019 10:47 am
  • Updated:October 17, 2019 10:47 am

অর্ণব আইচ: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একর পর এক আকাশে উড়ল ভারতীয় বাযুসেনার যুদ্ধবিমান। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার আকাশে যুদ্ধের মহড়া চালাল বায়ুসেনা। বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের সেনাদের সঙ্গে পাল্লা দিতেই পূর্ব ভারত ও উত্তর পূর্ব ভারতের ৬টি বিমানবন্দর থেকে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে হচ্ছে যুদ্ধের মহড়া।

বায়ুসেনার এক আধিকারিক জানান, প্রয়োজনে যাতে অসামরিক বিমানবন্দর সামরিক কাজে ব্যবহার করা যায়, তার জন্য মহড়া দিচ্ছে বায়ুসেনা। এই রাজ্যের দু’টি বিমানবন্দর দমদম ও অন্ডালকে সামরিক কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা, অন্ডাল ছাড়াও ডিমাপুর, ইম্ফল, গুয়াহাটি ও পাশিঘাট বিমানবন্দরে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। মূলত অত্যাধুনিক সুখোই-৩০ এমকেআই ও হক-১৩২ যুদ্ধিবমান এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে। তার জন্য বুধবারই কলকাতায় উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় তিনটি যুদ্ধবিমান। দমদম বিমানবন্দরেই রাখা হয় সেগুলিকে। বৃহস্পতিবার এই বিমানবন্দর থেকেই ডানা মেলে এই যুদ্ধবিমানগুলি। কলকাতাকে ঘিরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে উড়ে যুদ্ধের মহড়া চলে। তিনটি বিমান কলকাতার আকাশে ‘ডগফাইট’ চালায়। মাঝ আকাশে একটি যুদ্ধবিমান তাড়া করে অন্যটিকে।

Advertisement

বায়ুসেনা আধিকারিকরা জানান, ব্যস্ত সময়ে অন্যান্য উড়ান উড়বে, তখনই কলকাতা থেকে উড়ে যুদ্ধবিমানগুলি। সেই ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুহূর্তে এটিসি-র সঙ্গে সংযোগ রেখে চলেন বায়ুসেনার পাইলটরা। যদি কখনও শত্রুদেশের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, তাহলে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসাবেই কলকাতা বিমানবন্দরের মতো অসামরিক বিমানবন্দরগুলি ব্যবহার করা হবে। এখানেই ওঠানামা করবে যুদ্ধবিমান। প্রথম দফায় কলকাতার পর দ্বিতীয় দফায় অন্ডালে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা।

Advertisement

উল্লেখ্য, মেটিওর মিসাইলের মতো বিশেষ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র জুড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানে। এজন্য রাফালে নির্মাতা দাসাউ ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশ মতো কাজ করছে। রাশিয়া থেকে কেনা হচ্ছে দুর্ভেদ্য রক্ষাকবচ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। অর্থাৎ ত্রিমুখী রক্ষাকবচে (সুখোইয়ে ব্রহ্মস, রাপালে এবং এস-৪০০) ভারতের আকাশ দুর্গে পরিণত করছে বিমানবাহিনী। ফলে চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিমান হামলা প্রতিরোধ করে উপযুক্ত জবাব দেওয়াটা সহজ হয়ে যাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে।

[আরও পড়ুন: পুজো করে শুভারম্ভ, অত্যাধুনিক অ্যাপাচে কপ্টারকে জলকামানে স্বাগত জানাল বায়ুসেনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ