Advertisement
Advertisement

Breaking News

জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন গার্ডেনরিচে

পাঠানকোটের কায়দায় কলকাতাতেও জঙ্গি হামলা হতে পারে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো সূত্রে এই খবর পেয়ে সক্রিয় হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

Indian intelligence warns of possible terror attack in kolkata garden reach ship yard
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 15, 2016 3:06 pm
  • Updated:June 15, 2016 3:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে জাহাজ কারখানা চত্বর৷ সূত্রের খবর, ৩৯৭ জন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে৷ পাঠানকোটের কায়দায় কলকাতাতেও জঙ্গি হামলা হতে পারে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো সূত্রে এই খবর পেয়ে সক্রিয় হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভাটিন্ডা থেকে এক বায়ুসেনা আধিকারিকের গ্রেফতারির পরই জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছিল পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটি। একইভাবে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাহলে এখানেও হামলার আশঙ্কা কি উড়িয়ে দেওয়া যায়? এই প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মনে| গত নভেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের মিরাট থেকে ওই রাজ্যের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছিল ইজাজ৷ তাকে জেরা করেই জানা যায় যে, কলকাতার গার্ডেনরিচে বসে আইএসআই-এর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে সে৷ গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গার বহু গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করার ক্ষেত্রে মূল মাথা ছিল ইজাজ৷ তাকে ধরেই গার্ডেনরিচের বাসিন্দা ইরশাদ হায়দার আনসারি (৫২), তার ছেলে আসফাক হায়দার আনসারি (২৩) ও শ্যালক মহম্মদ জাহাঙ্গির (৪৮)কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স৷

Advertisement

কলকাতা ও উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ জায়গায় নতুনভাবে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যে পাক চর সংস্থা আইএসআই ইজাজের উপরই নির্ভরশীল ছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দারা৷ কলকাতায় তার নেটওয়ার্কের মূল তিন পান্ডাই গত নভেম্বর মাসে ধরা পড়ে গোয়েন্দাদের জালে৷ সম্প্রতি ইজাজকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এসটিএফ৷ তাকে জেরা করে কলকাতায় আইএসআই-এর নেটওয়ার্কের বিষয়ে উঠে এসেছে একের পর এক তথ্য৷ কলকাতায় এখনও তার নেটওয়ার্কে থাকা অন্য কোনও আইএসআই এজেন্ট রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা৷ কারণ, কলকাতা থেকে আইএসআই-এর দু’টি চক্র ধরা পড়ার পর গোয়েন্দাদের কাছে উঠে এসেছিল আরও কয়েকটি নাম৷ ইজাজ জেরার মুখে পাকিস্তানের কয়েকজন হ্যান্ডলারের নাম জানিয়েছে৷ এ ছাড়াও তাকে বসিরহাটের সীমান্ত কে বা কারা পার হতে সাহায্য করল, ইজাজকে জেরা করেই তাদের সন্ধান চলছে৷ এই বিষয়ে বিএসএফ গোয়েন্দাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন কলকাতার গোয়েন্দারা৷ বাংলাদেশের বাসিন্দা কয়েকজন পাক চরের বিস্তারিত তথ্যও উঠে এসেছে তাকে জেরা করে৷ ঢাকায় পাক দূতাবাসের এক মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে যে ইজাজ যোগাযোগ রাখত, জেরার মুখে তা-ও সে স্বীকার করেছে৷

Advertisement

পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বাসিন্দা ইজাজ আইএসআই-এর কাছ থেকে ট্রেনিং নেওয়ার পর বাংলাদেশে যায়৷ ২০১৩ সালের আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় বসে সে নেটওয়ার্ক তৈরি করে৷ ইজাজের নির্দেশে আসফাক ও জাহাঙ্গির একাধিকবার ঢাকায় গিয়ে তথ্য তুলে দিয়েছে এজেন্টদের হাতে৷ ইতিমধ্যেই ইজাজের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা লাগু হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে৷ আইএসআই-এর পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি হ্যান্ডলারদের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দেওয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ