Advertisement
Advertisement

Breaking News

corruption in parcel posting department in Sealdah

পায়ের চাপে বদলে যাচ্ছে ওজন! শিয়ালদহে পার্সেল পরিবহণে রেলের আয় ব্যাহত

বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Indian Railways news in Bangla: corruption in parcel posting department in Sealdah | Sangbad Pratidin

প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 16, 2020 7:13 pm
  • Updated:September 16, 2020 7:13 pm

সুব্রত বিশ্বাস: পায়ের বুড়ো আঙুলের সামান্য চাপে ওয়েট মেশিনের রিডিং বদলে যাচ্ছে। একশো কিলোর মাল সত্তর কিলোয় রেকর্ড হচ্ছে। এই বদলে যাওয়ার খেলায় শিয়ালদহ পার্সেলে পণ্য বুকিংয়ে রেলের ক্ষতি লক্ষ-লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন যাত্রী ট্রেন বিশেষভাবে না চলায় রেল পণ্য পরিবহণে জোর দিয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

শিয়ালদহের ডিআরএম এস পি সিং বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্সেল দুর্নীতি কোভিড পরিস্থিতিতে বদলায়নি বরং বেড়েছে। নিয়মিত ট্রেনগুলি ছাড়া এখন গুয়াহাটি, গোরক্ষপুর, ফারুকাবাদ ও ইটানগরে যে পার্সেল ট্রেন চলছে তাতে একই পদ্ধতি চলছে। কম ওজন দেখিয়ে বেশি পণ্য তুলে দেওয়ার ফলে ট্রেনের নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পেতে বলে আশঙ্কা করেছে অপারেশন বিভাগ। অপারেশন বিভাগের জনৈক কর্তার কথায়, নির্ধারিত ক্ষমতার বেশি পণ্য তোলা হয় বহু সময়ে। তেমনই পার্সেল ভ্যানে লোডিংয়ের নিয়ম রয়েছে। কামরার দু’দিকে সমান ওজনের মাল রাখতে হবে। মাঝখানে ফাঁকা রাখতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে মাছ, সবজি অধিক পরিমাণে যাচ্ছে। মাছ পরিবহণের আইন থার্মোকলের প্যাকে বরফ দিয়ে মাছ প্যাকিং হয়। এক্ষেত্রে শুধু মাছের ওজনে ধার্য হয় ভাড়া। বরফের ভাড়া লাগে না। প্রথমে প্যাকিংয়ে প্রচুর বরফ দিয়ে পরে অধিকাংশ ফেলে মাছ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ফলে হিসাব বহির্ভূত বহু ওজনের মাছ বিনা ভাড়াতে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। ওজনের কারসাজির সঙ্গে সঙ্গে রেলের আইনে ট্রেনের দু’ঘন্টা আগে পণ্য আসবে ও ট্রেনে পণ্য আসার পর দু’ঘন্টার মধ্যে পণ্য সরাতে বেরিয়ে যাবে নিয়ম থাকলেও, বহু পণ্য অনেক আগে এসে পড়ে থাকে। এজন্য রেলকে ভাড়া দেওয়ার আইন থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা দেন না। রেলের আয় ব্যাহত হলেও পার্সেল কর্মীদের পকেট পুষ্ট হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সুবিধা উপরতলা পর্যন্ত পৌঁছনোর ফলে নির্বিঘ্নে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে এক ভিজিল্যান্স কর্তা মনে করেছেন। তাঁর কথায়, দুর্নীতি দেখতে ভিজিল্যান্স থাকলেও সেখানেও গলদ রয়েছে। তিনি জানান, “রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে বেপরোয়া ভাবে মাল তোলা হয়, যে স্টেশনে আসার পর অফসাইড দিয়ে শাবল দিয়ে দরজা খুলতে হয়। সাধারণ সময়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ও রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়ার মুহূর্তে লাগেজের সিল ভেঙে গেট রিওপেন করে মাল তোলা হয়। চূড়ান্ত অপরাধমূলক কাজ চলে প্রকাশ্যে।

Advertisement

শিয়ালদহ কমার্শিয়াল বিভাগের এক কর্তার কথায়, বিষয়টি আজানা নয়। তিনি বলেন, এক বছর আগে অবসর নিয়েও এখনও পার্সেলে যাবতীয় অনৈতিক কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন এক প্রাক্তন বুকিং সুপারভাইজার। ‘ডি কে’ আতঙ্কে সাধারণ কর্মীরা প্রতিবাদ করতে পারেন না। বেআইনি কাজের অধিকাংশই তাঁর অঙ্গুলিহেলনে চলে। পার্সেলে নিয়মিত যাতায়াতে সঙ্গে আধিকারিকদের সখ্যতা রয়েছে। ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “রেলের অথনৈতিক ভারসাম্য রাখতে দেশের নানা দিকের সঙ্গে বাংলাদেশেও পণ্য পাঠানো হচ্ছে ও প্রস্তুতি চলছে। তার মধ্যে আয়ের ঘাটতি মেনে নেয়া যাবে না। খতিয়ে দেখা হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ