Advertisement
Advertisement
INS Sumitra

ভয়ে থমকে যাবে কাসভরা! কলকাতায় সমুদ্রপ্রহরী রণতরী INS Sumitra

জঙ্গিদের আটকাতে অত্যাধুনিক হাতিয়ার নিয়ে তৈরি নৌসেনার রণতরী ‘আইএনএস সুমিত্রা’।

INS Sumitra at Kolkata Dock | Sangbad Pratidin

কলকাতা বন্দরে দাঁড়িয়ে নৌসেনার রণতরী INS Sumitra। ছবি: সায়ন্তন ঘোষ।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 21, 2023 3:50 pm
  • Updated:December 21, 2023 4:45 pm

অর্ণব আইচ ও মণিশংকর চৌধুরী: মুম্বই হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল দেশ। নিরাপত্তায় ছিদ্র খুঁজে সমুদ্রপথে ছোট্ট অথচ দ্রুতগামী নৌকা বা ট্রলারে চেপে মায়া-নগরীতে ঢুকে পড়েছিল জঙ্গি আজমল কাসভ ও তার দলবল। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ফের ২৬/১১-র কায়দায় ‘সমুন্দরি জেহাদ’-এর পরিকল্পনা করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। সেই দুঃস্বপ্ন ঠেকাতেই সমুদ্রে জঙ্গিদের স্পিডবোটগুলিকে আটকাতে অত্যাধুনিক হাতিয়ার নিয়ে তৈরি নৌসেনার (Indian Navy) রণতরী ‘আইএনএস সুমিত্রা’ (INS Sumatra)।

বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দরে হাজির হয় গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের (Goa Shipyard Ltd) তৈরি রণতরী ‘আইএনএস সুমিত্রা’। যা ভারতীয় নৌসেনার শক্তি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলা বাহুল্য। নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জাহাজটির প্রধান কাজ হবে দেশের জলসীমায় নজরদারি চালানো। এইসঙ্গে প্রয়োজনে প্রাথমিক যুদ্ধেও সক্ষম এই জাহাজ। ২৮ এপ্রিল ২০১০ সালে ‘আইএনএস সুমিত্রা’র নির্মাণ সম্পূর্ণ হলেও সেটিকে ১৮ জুলাই ২০১৪ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এর পর থেকেই কর্তব্য পালনে অবিচল রণতরীটি। কেমন অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজ?

Advertisement
INS Sumitra in Kolkata Dock
কলকাতা বন্দরে দাঁড়িয়ে নৌসেনার রণতরী।

[আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগে নয়া মোড়, বিচারপতি সিনহার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ]

‘আইএনএস সুমিত্রা’য় রয়েছে ৭৬ মিমি এসআরজিএম (সুপার র‌্যাপিড গান মাউন্ট) প্রযুক্তির কামান। ক্লোজ-ইন অস্ত্র সিস্টেম CHAFF লঞ্চার। প্রয়োজনে যা শত্রুকে কাবু করতে সক্ষম। এই জাহাজের দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুট। ওজন ২ হাজার ২০০ টন। সবোর্চ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৯ মাইল। ৮ জন উচ্চপদস্থ কর্তা এবং ১০৮ জন নাবিকের থাকবার সুব্যবস্থা রয়েছে বিরাটাকার এই জাহাজটির ভিতরে। হালকা বিমান এবং হেলকপ্টার বহনে সক্ষম ‘আইএনএস সুমিত্রা’। অপরেশন রাহাতের অংশ ছিল এই রণতরী। 

Advertisement
INS Sumitra in Kolkata Dock
আইএনএস সুমিত্রায় নৌসেনার আধিকারিকরা।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ইয়েমেনে আটকা পড়া ৩৫০ জন ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছিল আইএনএস সুমিত্রা। ইয়েমেনের অ্যাডেন বন্দর থেকে লোহিত সাগরের জিবুতিতে সরিয়ে নিয়ে যায় তাঁদের। অপরেশন রাহাতের অংশ ছিল এই উদ্ধার অভিযান। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী যখন হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছিল তখন সুমিত্রাকে লাক্ষাদ্বীপ থেকে সরিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল।

INS Sumitra in Kolkata Dock
আইএনএস সুমিত্রার অন্দরে, নৌসেনার সমরাস্ত্র।

[আরও পড়ুন: যৌনতার পরেও পিতৃত্ব অস্বীকার! সদ্যোজাতকে ‘বাবুর বাড়ি’র সামনে রেখে গেলেন পরিচারিকা]

রণতরী আইএনএস সুমিত্রা প্রসঙ্গে আইএনএস নেতাজি সুভাষের কমান্ডার সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, এইআনএস সুমিত্রা ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরত্বপূর্ণ সদস্য। ভারতের জলসীমায় বিদেশী শত্রুর ষড়যন্ত্র ঠেকাতে বিশেষভাবে পারঙ্গম। ভারতের জলসীমায় নিরবিচ্ছন্নভাবে টহলদারি চালাচ্ছে এই জাহাজ। যাতে করে ভবিষ্যতে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মতো ঘটনা না ঘটে। নিরাপদে থাকেন ভারতীয়রা।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ