ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক বিক্রির অভিযোগে উত্তাল যাদবপুরের গোলাম মহম্মদ শাহ রোড। দোকান ভাঙচুর, আসবাবে আগুন। জনরোষের জেরে আক্রান্ত হয় পুলিশ। দফায় দফায় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ চলে। পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় আটক করা হয় তিনজনকে। লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামলায় পুলিশ।
[হুঁশ ফেরেনি চিংড়িঘাটার, এখনও ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল]
অভিযোগে একটি চায়ের দোকান দীর্ঘ দিন ধরে মাদক বিক্রি চলছিল। এর জেরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল ক্ষিপ্ত জনতা। এই ঘটনায় রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। পথ অবরোধে করেন স্থানীয় মানুষ। গভীর রাত পর্যন্ত গোলাম মহম্মদ শাহ রোড–সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। রাত যত বাড়তে থাকে, এলাকা ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। যাদবপুর থানা থেকে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়েন। এক পুলিশ আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে কোনওমতে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[রাজাবাজারে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা]
স্থানীয় সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানের আড়ালে লুকিয়ে মাদক বিক্রির অভিযোগ আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সন্ধে নামতেই ক্যাম্পাসের ভিতরে কিংবা বাইরে গেটের ধারে দোকানের গুমটির আড়ালে বসছিল মদ, গাঁজার আসর। রবিবার ওই এলাকায় এক মাদকাসক্ত যুবক আত্মহত্যা করে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় জনতা। রাতের বেলায় তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হন ওই চায়ের দোকানে। ওই দোকান থেকে জিনিসপত্র বের করে তাঁরা বাইরে ছুড়ে ফেলতে শুরু করেন। এর পর ওই দোকানটিতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় জনতা। যতক্ষণ না প্রশাসন মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধে কড়া ভূমিকা নেবে, ততক্ষণ প্রতিবাদ চলবে বলে জানিয়ে পথ অবরোধে বসে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাতে বাড়ি ফিরতে নাজেহাল হন বহু নিত্যযাত্রী। এই অবস্থায় কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের উপর চড়াও হয় সাধারণ মানুষ। এক পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় চলে আসে। তাঁরা এলাকা ঘিরে ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। দমকল আসে ঘটনাস্থলে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়ে যায়। গভীর রাতের দিকে পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হয়। সোমবার সকালেও এলাকা রয়েছে থমথমে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.