Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমরণ অনশনের হুমকি যাদবপুরের পড়ুয়াদের, শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ সুরঞ্জন

প্রবেশিকা বিতর্কে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

Jadavpur University students threaten fast till death
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 6, 2018 2:02 pm
  • Updated:July 6, 2018 2:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে পড়ুয়াদের অবস্থান-বিক্ষোভ, অন্যদিকে অধ্যাপক একাংশের কর্মবিরতি। প্রবেশিকা বিতর্কে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দুপুর ৩টের মধ্যে দাবি মানা না হলে, আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। ঘেরামুক্ত হয়েই শুক্রবার সকালে সহ-উপাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গেলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ চলে বৈঠক।

[৩১ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর অবশেষে মুক্ত উপাচার্য, যাদবপুরে জারি আন্দোলন]

Advertisement

স্রেফ উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই যথেষ্ট নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ভরতি হতে হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু, ব্যতিক্রম ঘটেছে এবছর। দুবার দিন ঘোষণা করেও, প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র নম্বরের ভিত্তিতে ভরতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মসমিতি। প্রতিবাদে বুধবার বিকেল থেকে টানা ৩১ ঘণ্টা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘেরাওমুক্ত হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তবে পড়ুয়াদের আন্দোলন থেমে নেই। শুক্রবার সকালে শিক্ষামন্ত্রীর রিজেন্ট পার্কে বাড়িতে যান উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। দীর্ঘক্ষণ চলে বৈঠকে। বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এদিকে উপাচার্য ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পরেও আন্দোলনে ভাটা পড়েনি যাদবপুরে। বরং ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনে শামিল অধ্যাপকদের একাংশও। দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। অধ্যাপকদের যোগদান আন্দোলনে নয়া মাত্রা যোগ করেছেন। পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি, দুপুর ৩টে-র মধ্যে কর্তৃপক্ষ যদি প্রবেশিকা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমরণ অনশনে বসবেন তাঁরা। আন্দোলনকারী বক্তব্য, শুধুমাত্র বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর পড়ুয়ার মেধার মাপকাঠি হতে পারে না। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে কলাবিভাগের পড়ুয়াদের ভরতি করতে হবে।

[প্রশিক্ষণ ছাড়াই ওটিতে ডিউটি, হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের আশঙ্কা এসএসকেএম-এর পড়ুয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ