Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kaustav Bagchi

‘কোর্টে ঢোকা বন্ধ করে দেব’, শালীনতা লঙ্ঘনে কৌস্তভকে হুঁশিয়ারি বিচারপতির

ব্যাপারটা কী?

Justice Indraprasanna Mukhopadhyay warns Kaustav Bagchi | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 17, 2023 9:54 am
  • Updated:May 17, 2023 9:54 am

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রুপ-ডি (Group- D) চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের অনুমতি মামলায় আদালতকক্ষে নিজের দাবি পেশের সময় শালীনতার সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ। বিচারপতির কড়া সমালোচনার মুখে পড়লেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi)। তাঁকে ভর্ৎসনা করতেও ছাড়লেন না হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

বিষয়টা ঠিক কী? গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিনই জরুরি ভিত্তিতে শুনানিতে আপত্তি জানান আন্দোলনকারীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। বুধবার সকালে শুনানির আবেদন জানান। তবে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাঁকে কিছুটা সময় দিয়ে প্রথমে সাড়ে তিনটে ও পরে বিকেল চারটেয় মামলার শুনানি করার কথা বলেন। কিন্তু আপত্তি জানিয়ে কৌস্তভ বলেন, ‘‘বুধবারই মামলার শুনানি হোক। সমস্যা হলে আমাদের হবে। আদালতের অনুমতি না পাওয়া গেলে আমাদের কর্মীরা ফিরে যাবেন। তাহলে বুধবার আদালতের শুনানি করতে সমস্যা কোথায়!’’ জবাবে বিচারপতি বলেন, “মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তাই মঙ্গলবার বিকেলেই শুনানি হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউটাউনের গেস্ট হাউসে বিদেশী নাগরিকের দেহ, পাশে মিলল সুইস ভাষায় লেখা নোট]

কৌস্তভ আচমকা আগবাড়িয়ে প্রবীণ বিচারপতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ করেন, ‘‘ব‌্যক্তিগত স্বার্থে আজই বিচারপতি মামলাটি শুনতে চাইছেন!’’ এজলাসে উপস্থিত সবাই এমন ‘অশালীন’অভিযোগ শুনে বাকরুদ্ধ, স্তব্ধ। পিনপতনের নীরবতা সেই সময়। এরপরই কৌস্তভকে স্বাভাবিকভাবে সতর্ক করে বিচারপতি বলেন, ‘‘কাকে কী বলতে হয় জানেন না। নিজের মর্যাদা বজায় রাখুন। বার কাউন্সিলকে বলে না হলে কোর্টে ঢোকা বন্ধ করে দেব।” কৌস্তভ এভাবে আদালতকে অসম্মান করেছেন বলেও সমালোচনা করেছে আইনজীবীদের বড় অংশ। বস্তুত বারবার নিজেকে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, পছন্দ না হলেই কেন এভাবে অসম্মানজনক মন্তব‌্য করা হবে, তাও খোদ এজলাসে।

Advertisement

 কৌস্তভকে কার্যত ভর্ৎসনা করে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘এই কথা আপনি বলতে পারেন না। ২০ বছর ওকালতি করছি। দ্রুত শুনানির আর্জিতে কী করে পদক্ষেপ করতে হয় জানি। কিন্তু একজন আইনজীবী হিসাবে আদালতে কী ধরনের আচরণ করতে হয় সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই। আইনজীবী হিসাবে নিজের মর্যাদা বজায় রাখুন। নইলে বার কাউন্সিলকে আপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলব। তখন আদালতে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে। আদালত কী ভাবে চলবে সেটা আপনি ঠিক করে দিতে পারেন না। বিকেল চারটেতেই শুনানি হবে।”

[আরও পড়ুন: চাকরি কারও একার নয়! অঙ্কিতা, ববিতা হয়ে অনামিকা, কীভাবে এক চাকরি পেলেন ৩ জন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ