Advertisement
Advertisement
Debanjan Deb

‘আমাদের শরীরেও বিষ ঢুকিয়েছে’, পুলিশের কাছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ সহযোগীদের

আগামিকাল আদালতে তোলা হবে দেবাঞ্জনকে।

Kasba fake vaccine : Debanjan Deb's associates expressed anger against fake IAS | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 6, 2021 9:51 pm
  • Updated:July 6, 2021 9:52 pm

অর্ণব আইচ: “আমাদের শরীরেও দেবাঞ্জন ঢুকিয়েছে বিষ”, লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছে ভুয়ো আমলার কয়েকজন সঙ্গী। তারা সকলেই বর্তমানে পুলিশের জালে। দেবাঞ্জনের আট সহযোগীর মধ্যে সাতজনই এখন জেল হেফাজতে। বাকি এক কর্মচারী ইন্দ্রজিৎ সাউ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। জেলে যাওয়ার আগে ওই সহযোগীদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশকে জানিয়েছে, ক্যাম্প ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার টিকার নাম করে যে তাদেরও ভুয়া টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত।

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) বাড়িওয়ালা তথা বিজ্ঞাপন এজেন্সির মালিক অশোক রায় নিজেই তাঁর ৫০ জন পরিচিত ও কর্মচারীকে টিকা দেওয়ার জন্য দেবাঞ্জন দেবের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন। দেবাঞ্জনের কসবার ভুয়ো পুরসভার অফিসে যারা টিকা নিতে এসেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিল সুশান্ত দাস বা রবিন সিকদারও। তাঁরা দু’জনই অশোক রায়ের বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মী। এই দু’জনকে পুরসভার নামে জাল সই করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অশোক রায় নিজেই তাদের বলেছিলেন দেবাঞ্জনের কাছ থেকে টিকা নিতে। যদিও অফিসের অন্য কর্মচারীরা জানতেন যে, সুশান্ত বা রবিনের মতো অশোক রায়ের সঙ্গীরা প্রত্যেকেই কলকাতা পুরসভার কর্মী ও আধিকারিক। তাঁরা পুরসভার সদর অফিসে কর্মরত। তাই তাদের বিশেষ খাতিরও করা হয়েছিল। পরে সুশান্তরা পুলিশের কাছেই দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আবার ধৃত কর্মচারী ইন্দ্রজিৎ সাউ লালবাজারের ‘সিট’কে জানিয়েছে, গত এপ্রিলে দেবাঞ্জন কসবার ভুয়ো পুরসভার কর্মচারীদের ডেকে জানায়, যেভাবে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে এবার কসবার অফিসের কর্মচারীদের টিকা দিতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাতৃসমা কৃষ্ণাদেবীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, গেলেন মুকুল রায়ের বাড়ি]

বলা হয়, কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির একজন সদস্য টিকা নিতে পারবেন। সেইমতো কর্মচারীদের ভুয়ো টিকা দেয় দেবাঞ্জন। ইন্দ্রজিৎ লালবাজারের গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, তাকে ও তার স্ত্রীকে স্পুটনিক-V টিকা দেওয়া হয়েছে বলে দেবাঞ্জন নিজেই জানায়। দেবাঞ্জনের ধৃত নিরাপত্তারক্ষীকেও টিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য ও কর্মচারী ইন্দ্রজিৎ সাউ সোনারপুর ও আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে টিকাকরণের ক্যাম্পের আয়োজন করে বলে পুলিশের কাছে দাবি তাদের। যদিও পুলিশ আধিকারিকদের সামনেই আফসোস করেছে তারা। তারাও পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের শরীরে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুয়া টিকার ‘বিষ’ মিশিয়েছে দেবাঞ্জন। পুলিশ সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া সবুজ ঢাকনাওয়ালা ভায়ালে কোভিশিল্ডের লেবেলের আড়ালে ছিল অ্যামিকাসিন সালফেটের লেবেল। লাল ঢাকনা দেওয়া ভায়ালে স্পুটনিক-V আড়ালে ছিল ‘নাডিকর্ট’ বা ট্রাইঅ্যামসিনোলোন অ্যাসিটোনাইড ইঞ্জেকশন। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক রিপোর্ট জানিয়েছে যে, ভায়ালের উপর আসল লেবেলের উপর জাল লেবেল লাগানো হয়েছিল। এবার পুলিশ নাইসেডের রিপোর্টের অপেক্ষায়। বুধবার ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে ফের আলিপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ