Advertisement
Advertisement

Breaking News

লক্ষ্মীপুজোর মধ্যেই বিজ্ঞাপনমুক্ত হবে শহর কলকাতা

পুজো উদ্যোক্তারা না সরালে পুরসভাই উদ্যোগী হয়ে সাফাই অভিযানে হাত লাগাবে৷

KMC orders Puja committee to remove banners
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 14, 2016 12:21 pm
  • Updated:October 14, 2016 12:21 pm

অনির্বাণ বিশ্বাস: পুজো শেষ হতেই শহরে দৃশ্যদূষণের হাত থেকে মুক্তি দিতে তৎপর কলকাতা পুরসভা৷ উৎসবের স্পনসরদের বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুন সরাতে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত শহরের প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি পুজো উদ্যোক্তাকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা৷

এর মধ্যে পুজো উদ্যোক্তারা উদ্যোগী হয়ে নিজেরাই এই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং সরিয়ে না ফেললে সেই কাজে হাত লাগাবে পুরসভা৷ বুধবার মেয়র পারিষদ (বিজ্ঞাপন) দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন,  মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন৷ লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত শহরের পুজোগুলিকে সময় দেওয়া হয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে হোর্ডিং পুজো উদ্যোক্তারাই সরিয়ে নেবেন৷ যদি সেই কাজ না হয় তাহলে পুরসভাই উদ্যোগী হয়ে সাফাই অভিযানে হাত লাগাবে৷

Advertisement

শহরে বড় বাজেটের পুজো থেকে মাঝারি বাজেটের পুজো৷ সবেতেই এখন বিজ্ঞাপনী প্রচার৷ পুজোর খরচ ওঠাতে আবার শহরের রাস্তায় বাঁশের অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে বিজ্ঞাপন সংগ্রহও করেন পুজো উদ্যোক্তরা৷ কিন্তু অনেক সময় পুজোর পরও সেই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং সরাতে আগ্রহ দেখা যায় না উদ্যোক্তাদের৷ তখন বাধ্য হয়েই পুরসভাকে শহরজুড়ে সাফাই অভিযান চালিয়ে শহরকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়৷ পুরসভার এক আধিকারিক জানান, শহরে বড় পুজোর সংখ্যা ৭০-৮০ টি মতো৷ কিন্তু তাদের বিজ্ঞাপনের সংখ্যাই ছাড়িয়ে যায় প্রায় দশ হাজার৷ এছাড়াও রয়েছে প্রচুর মাঝারি ও ছোট পুজো৷ সেখানেও প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার হিড়িক৷ আনুমানিক শহরে প্রতিবছর পুজোর সময় প্রায় ৩০-৪০ হাজার বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন থাকে৷

Advertisement

এছাড়াও রয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের ভিড় টানার হোর্ডিং, পুরসভার সচেতনতার  ব্যানার ও পুলিশের পথ নির্দেশিকার হোর্ডিং৷ যদিও সরকারি সব হোর্ডিংই নিজেদের উদ্যোগে সরিয়ে নেয় কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ৷ কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় অন্য জায়গায়৷ পুর আধিকারিকদের মতে, পুজো উদ্যোক্তাদের তৈরি করে দেওয়া বাঁশের অস্থায়ী কাঠামোতে বেসরকারি হোর্ডিং লাগায় বিভিন্ন এজেন্সি৷ অনেক সময় পুজোর পর তারাই সরিয়ে দেন বিজ্ঞাপন৷ আবার পুজো উদ্যোক্তারাও সেই কাজে হাত লাগায়৷ বড় পুজোগুলি এই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেও আগ্রহ হারান মাঝারি পুজো উদ্যোক্তারা৷

অন্যদিকে পুজো পরবর্তী গর্ত বোজাতে উদ্যোগী পুরসভার রাস্তা বিভাগ৷ পুর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে ফুটপাথ থেকে রাজপথ গর্ত খোঁড়া হয় সর্বত্র৷ শুধু ব্যারিকেডের জন্য নয়, পুজো প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধা থেকে আলোকসজ্জা সবেতেই প্রয়োজন গর্তের৷ কিন্তু পুজো মিটে গেলেও অনেক পুজো উদ্যোক্তাই সেই গর্ত বোজাতে আগ্রহ দেখান না৷ ফলে নাগরিক পরিষেবাকে স্বাভাবিক রাখতে বাধ্য হয়েই সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় কলকাতা পুরসভাকে৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ