ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের যৌন নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রী। নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির স্কুলেরই অশিক্ষক কর্মীর দিকে। অভিযোগ, স্কুলের ভিতরেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার রবীন্দ্রনগর থানায় ওই অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মলয় কুমার বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ আদালতে তোলা হবে। নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার কমলা গার্লস হাইস্কুলে।
একের পর এক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে শহরে। জি ডি বিড়লা স্কুল থেকে শুরু হয়েছিল। এখনও শুকোয়নি তার ক্ষত। মাত্র একদিন আগেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ক্লাস টুয়ের খুদে। সেটাও দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুল দেশপ্রিয় পার্কের কারমেল প্রাইমারি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্কুলের নাচের শিক্ষকের দিকে। অভিযোগ, দিনের পর দিন ওই বাচ্চাটিকে আড়ালে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর নানাভাবে তার যৌন হেনস্তা করা হত। বাড়িতে বললে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ফলে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল বাচ্চাটি। কিন্তু শেষমেশ কথা চাপা তাকেনি। বাচ্চাটির অভিভাবকদের থেকে বৃহস্পতিবার এই কথা কানে ওঠে অন্যান্য অভিভাবকদের। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা বাড়লে তা জমায়েতের চেহারা নেয়। অভিভাবকদের দাবি, জি ডি বিড়লার মতোই এখানেও প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত শিক্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের দাবি, প্রিন্সিপাল পুরো ঘটনা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, এই স্কুলে এরকম কিছু ঘটতে পারে না। তবে দায় এড়ালেও শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুলের গেট বন্ধ রয়েছে। অভিভাবক-সহ পড়ুয়াদের স্কুল চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কারমেল প্রাইমারির পড়ুয়াদের অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলছেন। পিটি বা নাচ আসলে ‘ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি’। সেখানে ছাত্রীদের সামলাতে কেন পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ করা হল? আর অভিযোগ পাওয়ার পর কেনই বা সেই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হচ্ছে না? কেন আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে? একই প্রশ্ন উঠতে পারে কমলা গার্লসের ক্ষেত্রে। অভিযুক্ত স্কুলের অশিক্ষক কর্মী। এই ঘটনার পরে গার্লস স্কুলগুলিতে পুরুষ শিক্ষকের পাশাপাশি পুরুষ শিক্ষাকর্মীর উপস্থিতিরও প্রতিবাদ জানাবেন অভিভাবকরা। এমনটাই দাবি অনেকের। ইতিমধ্যেই স্কুল চত্বরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। অভিযুক্তের নজির বিহীন শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। পাশাপাশি গার্লস স্কুলগুলিতে পুরষকর্মী না রাখার সওয়ালও জোরদার হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.