সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মসূচি ছিল রাতভর অবস্থানের পর বিকেলে মিছিল করার। কিন্তু সিপিএমের শাখা সংগঠন মহিলা সমিতির সদস্যদের একটি বড় অংশ আচমকা মিছিলের ব্যারিকেড ভেঙে বিধানসভার দিকে যেতে শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে একদল মেয়ো রোড ও অপর দলটি রানি রাসমণি রোডের উপরে বসে পড়েন। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা হলেও বিক্ষোভকারীরা তাতে কর্ণপাতও করেননি। একরকম বাধ্য হয়েই মহিলা সমিতির অন্তত ১৫১ জন প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল চারটে নাগাদ এঁদের মধ্যে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেখা গোস্বামীও ছিলেন। রাস্তার মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। লালবাজারে গিয়েও তাঁরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বলে অভিযোগ।
[পরিবহণ দপ্তরের নয়া দাওয়াই, লাইসেন্স ছাড়া বাইক বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা]
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা নেত্রীদের ব্যক্তিগত জামিন নেওয়ার কথা বলা হলে তাঁরা তাতে রাজি হননি। অবস্থা সামাল দিতে লালবাজারে হাজির হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, শমীক লাহিড়ীর মতো নেতারা। আলোচনা করেন পুলিশকর্তাদের সঙ্গে। প্রায় চার ঘণ্টা পর লালবাজার থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, “ব্যক্তিগত জামিন নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষপর্যন্ত তার আর প্রয়োজন হয়নি। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।