সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি করতে হবে, নাহলে সংসারে তাঁকে প্রয়োজন নেই। এ কথা বলেই দিনের পর দিন চলে জুলুম। যার জেরে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নিলেন বাঁশদ্রোণীর গৃহবধূ। তাঁর সুইসাইড নোট ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শুক্রবার বাঁশদ্রোণী এলাকার গড়িয়া সারদা পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হল অনন্যা সাইয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ফ্ল্যাটে স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন গৃহবধূ। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেখানে ছিলেন না। মৃতার আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, চলতি বছর মার্চেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। তারপর থেকেই স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতেন অর্ণব। অর্থ উপার্জন করতে জোর দিতেন। এমনকী হুমকি দিয়েছিলেন, চাকরি না করলে তাঁদের সন্তান হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে স্বামীর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। চিঠিতে মাকে তিনি লিখেছেন, “জানো তো, আমায় স্বামী বলেছে চাকরি না পেলে আমার বাচ্চা হবে না। এই অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছি না। আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক প্রায় নেই। এটাই ভাল হল, তোমায় রোজ রোজ কাঁদতে হল না।” বাবার উদ্দেশে লেখা, “ভেবো মেয়ের অনেক দূরে বিয়ে দিয়েছ। তোমরা কষ্ট পেয় না।” ফলে রহস্য দানা বেঁধেছে। আর সেই কারণেই খুনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
তাঁর পরিবার অর্ণবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগই দায়ের করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, অযথা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিকতা ছিল না অনন্যার। তাই স্বামীর অত্যাচারের কাছে নতিস্বীকার করতেই এই পথ হয়তো বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বামী অর্ণব সাইকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর।
সম্প্রতি এ শহরে এমন আরও একটি ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। উত্তরপাড়ার পারমিতা বক্সি চেয়েছিলেন একজন ঘরকন্না সামলানো সফল জায়া, দরদি জননী হতে। যাঁর ঘর থেকে পাওয়া ডায়েরির পাতায় পাতায় রহস্য। স্বামীর অত্যাচার ও অপমানেই শেষমেশ আত্মহত্যা করেছিলেন তিনিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.