Advertisement
Advertisement
Iskcon temple

‘সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিন’, সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনকে আরজি কলকাতার ইসকনের

বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে সরব সব পক্ষ।

Kolkata ISKCON temple approaches Bangladesh govt seeking protection for minorities
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 18, 2021 2:38 pm
  • Updated:October 18, 2021 5:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে আনন্দ নয়, হিংসার আগুনে তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। কোথাও পুজোমণ্ডপে হামলা, কোথাও মন্দিরে ভাঙচুর, কোথাও আবার হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ নিয়ে সরব নানা মহল। এবার এই ধারাবাহিক ঘটনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতার ইসকন (Iskcon Temple ) কর্তৃপক্ষ। লিখিত বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে কর্তৃপক্ষের আরজি, ”সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিন।”

ইসকন কর্তৃপক্ষের বিবৃতি

দুর্গাপুজো (Durga Puja) চলাকালীনই বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালি-সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানে হামলা চলেছে। নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে খুন হয়েছেন অন্তত ৪ জন, এমনই দাবি কর্তৃপক্ষের। সেই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার কিনারা করতে শেখ হাসিনা প্রশাসন বেশ তৎপরতা দেখিয়েছে। অপরাধে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ধৃত চার হাজারের বেশি। লাগাতার হিংসার প্রতিবাদে সে দেশে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। শাহবাগ (Shahbag) চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। গর্জে উঠেছেন সেখানকার বিশিষ্টজনেরাও। অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনও সক্রিয়। চট্টগ্রাম, ফেনি, রংপুর – এই তিন জায়গার পুলিশ প্রধানক-সহ মোট ৭ জন পুলিশ অফিসারকে অপসারণ করা হয়েছে বলে খবর। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: আর জি কর হাসপাতালের জট কাটাতে এবার মেন্টর গ্রুপকে বৈঠকে ডাকলেন স্বাস্থ্যসচিব]

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব ঘটনার পিছনে পূর্বপরিকল্পনাই দেখছেন। তাঁর মতে, দুর্গোৎসবের সময় হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানে হামলা পুরোপুরি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটেছে। এবার ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু (minority)বিশেষত হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত কলকাতার ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। লিখিত বিবৃতিতে সেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া এবং হিন্দুদের পাশাপাশি ক্রিশ্চান, বৌদ্ধদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পরিস্থিতিই আলোচনার শীর্ষে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে আব্বাসের মন্তব্য উসকানিমূলক, পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ