Advertisement
Advertisement

আট বছর ধরে মৃত বাবার পেনশন তুলছে ছেলে

প্রত্যেক বছর নিয়ম করে পড়েছে লাইফ সার্টিফিকেট।

Kolkata Man taking dead father's pension for 8 years
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 28, 2018 8:48 am
  • Updated:August 28, 2018 8:48 am

স্টাফ রিপোর্টার: আট বছর ধরে বাবার পেনশন তুলছিলেন ছেলে। প্রত্যেক বছর জমা পড়ছিল লাইফ সার্টিফিকেট। তাই সন্দেহের অবকাশ ছিল না ব্যাঙ্কেরও। কিন্তু বৃদ্ধকে পেনশন অফিসে দেখা করতে বলতেই বাধল গোলমাল। বৃদ্ধের দেখা আর মেলে না। অথচ পেনশন জমা পড়েই চলেছে। শেষ পর্যন্ত এই বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন উত্তর কলকাতার কাশীপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও পেনশন অফিসের আধিকারিকরা। একটু খতিয়ে দেখতেই যেন কেচো খুঁজতে গিয়ে কেউটের সন্ধান মিলল।

আধিকারিকরা জানতে পারেন, ২০০৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল বিপদবরণ দাস রায় নামে ওই ব্যক্তির। পুলিশের কাছে করা অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৮ বছর ধরে জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে ১০ লাখ ১৮ হাজার ৭৯ টাকা পেনশন জালিয়াতি হয়েছে। এই বিষয়ে বিপদবরণ দাসের ছেলে অনিন্দ্য দাস রায়ের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের পেনশন ডিসবার্সমেন্ট সেলের অতিরিক্ত ডিরেক্টর।

Advertisement

[কোল্ড ড্রিংকসের ফ্রিজ থেকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু, অভিযুক্ত দোকানদার]

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বেহালার একটি বাড়িতে ডিপ ফ্রিজার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক বৃদ্ধার দেহ। সেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে যে, বৃদ্ধার ছেলে শুভব্রত মজুমদার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিউ আলিপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে মায়ের পেনশন তুলতেন। দক্ষিণের পর এবার উত্তর কলকাতায় ঘটল এই ধরনের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই পেনশন আসলে পেতেন অভিযুক্তর মা মালতী দাস রায়। অবসর গ্রহণের পর গত ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তিনি পেনশন পেতে শুরু করেন। ২০০৮ সালের ২৫ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই তাঁর স্বামী বিপদবরণ দাস রায় পেনশন পেতে শুরু করেন। প্রত্যেক বছর তাঁর নামে লাইফ সার্টিফিকেটও জমা পড়ত। তাঁর নামে পেনশন তুলেও নেওয়া হচ্ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক  কর্তৃপক্ষও জানত যে, বেঁচে রয়েছেন ওই ব্যক্তি।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে বলা হয়, তিনি যে বেঁচে রয়েছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ অফিসে এসে দেখা করতে। যদিও তাঁর ছেলের দাবি ছিল, বাবা অসুস্থ। তাই আসতে পারছেন না। যদিও ডিসেম্বরে বাবার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেন ছেলে। তারই দৌলতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পেনশন জমা পড়ে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ওই শংসাপত্র জমা না পড়ায় পেনশন দপ্তরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এর পরই জানা যায় যে, অভিযুক্তর বাবা অসুস্থ নন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৮ বছর আগে, অর্থাৎ ২০০৯ সালে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে তিনি ১০ লাখ টাকারও বেশি তুলে নিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[অটলের স্মরণসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ, মমতার কালীঘাটের বাড়িতে বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ