Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

করোনা মোকাবিলায় আরও তৎপর রাজ্য, কলকাতা মেডিক্যালে চিকিৎসার বন্দোবস্তের ভাবনা

প্রয়োজন হলে করোনা নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ল্যাবরেটরি।

Kolkata Medical college may be used for corona virus treatment

ছবি:‌ প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 23, 2020 9:41 pm
  • Updated:March 23, 2020 9:42 pm

গৌতম ব্রহ্ম: করোনা সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলই। সেই দুশ্চিন্তা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। দমদমের প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর থেকে আরও সতর্ক প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের জন্য চিকিৎসার বন্দোবস্ত হতে পারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে হাসপাতাল খালি করার কাজ। বন্ধ রয়েছে জরুরি বিভাগে রোগী ভরতিও।

করোনা সতর্কতায় বহুদিন আগেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বিশেষ বন্দোবস্ত করেছিল রাজ্য সরকার। প্রথম ধাপে সন্দেহভাজনদের ভরতি করা হচ্ছিল ওই হাসপাতালে। রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তও ভরতি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তার পাশাপাশি এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে একটি নয়া আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। সেখানে ভরতি রয়েছে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের পরিজনেরা। এ রাজ্যে হার তুলনামূলক কম হলেও, সন্দেহভাজন অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন হাসপাতালে। অনেক সময়েই রোগীর চাপ সামাল দিতে হাঁসফাঁস দশা চিকিৎসক, নার্সদের। তাই তাঁদের ভার লাঘব করতে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নোভেল করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, মেডিক্যাল কলেজে ২২০০ বেড রয়েছে। সমস্ত বেড করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের জন্য ব্যবহার করা হবে। নতুন রোগী ভরতি বন্ধ করে দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ। খুব সংকটজনক না হলে রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এ বিষয়ে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও সুপার এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, “আমরা সরকারিভাবে এখনও কিছুই জানিনা। তবে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে। তবে এটা হলে ভাল হয়।”

Advertisement
এর আগে ১০ তলার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের আটতলা করোনা সন্দেহভাজন ও আক্রান্তদের জন্য ব্যবহার করা হবে। তবে সেখানে রয়েছে ডায়ালিসিস বিল্ডিং। তাই সেভাবে সে বিষয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। আবার শোনা যাচ্ছে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে একটি উচ্চমানের ল্যাবরেটরি রয়েছে। প্রয়োজন হলে করোনা নির্ণয়ের জন্য ওই ল্যাবরেটরিও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা চালু হয়নি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ