স্টাফ রিপোর্টার: বাড়তে পারে মেট্রোর ভাড়া। ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছে রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটি। কারণ মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে জানতে পারেন দেশের প্রথম মেট্রো চালাতে বেশ লোকসানের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সরকারি সংস্থাকে। ১০০ টাকা আয় করতে মেট্রোর ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩০০ টাকা। কমিটির সদস্যরা এই তথ্য জানতে পেরে রীতিমতো স্তম্ভিত। তাঁদের কথায়, এত বড় পরিষেবা সুন্দরভাবে বজায় রাখতে অর্থ উপার্জনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। আর এজন্যই ভাড়া বাড়ানো যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে কমিটি।
[রাজ্যপাল ক্যাডারসুলভ আচরণ করছেন, অভিযোগ পার্থর]
মঙ্গলবার শিয়ালদহ স্টেশন পরিদর্শন করেন রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। কমিটিতে এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি ভুবনেশ্বর চলে যাওয়ায় কমিটির অন্য পাঁচ সদস্যই এদিন রেল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান রামতহল চৌধুরি, সাংসদ সদস্য বলভদ্র মাঝি, লক্ষ্মণলাল সাহু, রণবিজয় সিং জুদেব, রাজীব সাওয়াৎ। শিয়ালদহ স্টেশনের যাত্রী পরিষেবার হাল-হকিকত খতিয়ে দেখে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। জন আহারে খাবারের মান খতিয়ে দেখেন সকলে। পানীয় জলের সমস্যা, শৌচালয়ের পরিস্থিতি, পরিচ্ছন্নতা, যাত্রী বিশ্রামাগারের অবস্থা, ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা, যাত্রীদের নানা অসুবিধাও খতিয়ে দেখেন সদস্যরা।
[আরএসএসের শাখা হয়ে উঠেছে রাজভবন, বিস্ফোরক অভিযোগ ডেরেকের]
এরপরই মেট্রো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শুধু ভাড়া বৃদ্ধিই নয়, মেট্রো রেলের পরিকাঠামোর উন্নয়নের বিষয়েও জোর দেওয়া হয়। মেট্রোর নির্মীয়মাণ প্রকল্পে কোনওরকম অসুবিধা হলে কমিটিকে জানাতে বলেছেন সদস্যরা। অসুবিধা সমাধানে সরাসরি রেলমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চাইবে কমিটি। পাশাপাশি শহরতলির ছোট স্টেশনগুলির যাত্রীরা প্রকৃত স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছে কমিটি। অনেক স্টেশনে শেড নেই। নেই শৌচালয়ও। তাই রোদ, বৃষ্টি ও প্রকৃতির ডাকে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। এর সমাধান করার কথাও বলা হয়েছে এদিন।
[সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান দেবেন না, আবেদন কলকাতা পুলিশের]