Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘মেরে রক্ত বার করে দিয়েছে’, বাবার বিরুদ্ধে থানায় উঠতি মডেল

ফেসবুকে লিখলেন শিউরে ওঠার মতো অভিজ্ঞতা।

Kolkata model alleges domestic violence, approaches cop
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 2, 2017 4:33 am
  • Updated:November 2, 2017 4:42 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা মুখে আঁচড়ের দাগ। চোখ দিয়ে জল পড়ছে। নিচে লেখা “আমি, আমার মা ও ভাই, তিনজন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার..আজকে মেরে খামচে আমার সারা মুখে রক্ত বার করে দিয়েছে বাবা।” মাসকারায় ঢাকা উঠতি মডেলের এহেন চেহারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আসতেই চোখ কপালে সকলের।

[এসআই অমিতাভ মালিককে হত্যার অভিযোগে ধৃত ৩ গুরুংপন্থী নেতা]

এ যেন রিল লাইফের গল্পের খোঁজ পাওয়া গেল রিয়েল লাইফে। এক সপ্তাহ আগে মুক্তি পাওয়া সিক্রেট সুপাস্টারের ঘটনা ধরা পড়ল পূর্ব কলকাতার রাজারহাটের নারায়ণপুরে। সিনেমায় বাবার অত্যাচারে মাকে ডিভোর্স নিতে বলেছিলেন কিশোরী ইনসিয়া। বাস্তবে বাবার বিরুদ্ধে থানায় গেলেন উঠতি মডেল রাতুলা সাহা। রাতুলা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে তাঁকে ও তার ভাইকে মারধর করেন বাবা সুভাষ সাহা। এদিন তার মাত্রা সীমা ছাড়ায়। মেয়েকে মেরে মুখ থেকে রক্ত বার করে দেন তিনি। অভিযোগ, হাতে পায়ে ধরেও রেহাই পাননি রাতুলা। তবে এর শুরু অনেকদিন আগে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে রাতুলা জানিয়েছেন, পান থেকে চুন খসলেই গায়ে হাত তুলতেন বাবা। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে বলতেন তাঁকে আর মাকে।

Advertisement

Advertisement

[ডাক্তার ছেড়ে ওঝার দ্বারস্থ পরিবার, মৃত্যু সাপে কাটা রোগীর]

এতদিন অভিযোগ জানাননি কেন? ওই উঠতি মডেল জানিয়েছেন, সামাজিক সম্মান নষ্ট হওয়ার ভয়েই বাইরের কাউকে কিছু বলা যায়নি। বাবা অবসরপ্রাপ্ত ডব্লুউবিসিএস অফিসার হওয়ায় এলাকায় তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তিও কম নয়। তবে বুধবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় মেয়ের। এদিন তিনি বিধাননগর নারায়নপুর ফাঁড়িতে গিয়ে বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। যদিও প্রথমে প্রতিবেশীরা তাঁকে নিয়ে পুলিশের কাছে গেলেও অভিযোগ নেননি তাঁরা। পরে অবশ্য চাপের মুখে পড়ে রাতুলার অভিযোগ শুনে এফ আই আর দায়ের করে পুলিশ আধিকারিকরা। থানায় বসেই রাতুলা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই বাবার অত্যাচারে বাড়িতে কিছু বলা যেত না। তারা প্রতিবাদ করলে মায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত বাবা। দ্বাদশ শ্রেণির পর তাঁর পড়াশোনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাতুলার অভিযোগ, পাছে পড়াশোনা করে সে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে নেয়। সেই কারণেই তাকে উচ্চশিক্ষা দিতে রাজি ছিল না বাবা। এ ঘটনা বাইরে জানাজানি হলে তাদের উপর অত্যাচার বাড়তে পারে। বাধ্য হয়ে তাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সাহায্য চেয়েছেন রাতুলা। পাশে পেয়েছেন মডেলিং জগতের বন্ধুদেরও।

[ছেলে-বৌমার অত্যাচারে বাড়ি হারিয়ে এখন পথে পথে এই দম্পতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ