Advertisement
Advertisement

ছদ্মবেশী চিনা বাজি রুখতে গুদামে নজরদারি পুলিশের

দু’ঘণ্টাতেও ছড়াতে পারে মারাত্মক দূষণ।

Kolkata police eyes banned crackers ahead of Diwali
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 24, 2018 4:58 pm
  • Updated:October 24, 2018 4:58 pm

অর্ণব আইচদু’ঘণ্টার জন্যও মারাত্মক দূষণ ছড়াতে পারে চিনা বাজি। তাই ‘ছদ্মবেশী’ চিনা বাজি ধরতে শহরের বেশ কিছু গুদামের উপর নজরদারি শুরু পুলিশের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী,  রাত আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে আতসবাজি। বিশেষজ্ঞদের মতে,  ওই দু’ঘণ্টায় শহরজুড়ে যথেষ্ট আতসবাজি পোড়ে। তার উপর যদি চিনা আতসবাজি ফাটানো হয়,  তার ফল হতে পারে মারাত্মক। কারণ,  চিনা বাজিতে থাকে পটাশিয়াম ক্লোরেট,  যা বেশি পরিমাণ দূষণ ছড়ায়।

পুলিশ জানিয়েছে,  চিনা বাজি নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী সাধারণ আতসবাজির আড়ালে চিনা বাজি পাচার করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ‘নিরীহ’ আতসবাজির বাক্সের মধ্যে নিষিদ্ধ চিনা বাজি বিক্রি হয় যে, অনেক সময় বাইরে থেকে বোঝার উপায়ও থাকে না। আবার কমদামি চিনা বাজির লেবেল ছিঁড়ে ফেলে তাতে সাধারণ আতসবাজির লেবেল লাগিয়ে তা চড়া দামে বিক্রির অভিযোগও ওঠে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এখানকার আতসবাজি ব্যবসায়ীরাও। তাই নিষিদ্ধ চিনা বাজি পাচার এড়াতে মূলত শহরের গুদামগুলির দিকেই বেশি নজর রয়েছে পুলিশের। পুজোর আগেই উত্তর বন্দর এলাকা-সহ কয়েকটি জায়গা থেকে প্রচুর শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা,  দীপাবলির আগে শহরে আরও শব্দবাজি পাচারের চেষ্টা হতে পারে। অন্যান্য জিনিসপত্রের আড়ালে বা পরিবহণ সংস্থার গুদামে নিয়ে যাওয়ার নাম করে যাতে শহরে শব্দবাজি পাচার না হয় , সেই বিষয়ে এখন থেকেই শহরের মালবাহী গাড়িগুলির উপর কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের।

Advertisement

এদিকে, বাগরি মার্কেটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর গুদামের বিষয় আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না পুলিশ। পুলিশের কাছে খবর, এই সময় শহরের বেশ কয়েকটি গুদামে বাজি ডাঁই করে রাখা হয়। আর তাতেই থাকছে ঝুঁকির প্রশ্ন। বড়বাজার ও তার সংলগ্ন এলাকার বহু গুদাম ও বাণিজ্যিক বাড়িতে যে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তা-ও প্রমাণিত। সেই ক্ষেত্রে গুদামগুলিতে বাজি জমিয়ে রাখলে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বাগরির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, একবার আগুন ধরার পর সুগন্ধি, প্লাস্টিকের প্রচুর জিনিসপত্র দোকান ও গুদামে থাকায় সে আগুন সহজে নেভেনি। সেই ক্ষেত্রে যদি গুদামের ভিতরে বাজির সম্ভার থাকে, তার ফল আরও মারাত্মক হতে পারে। জানা গিয়েছে, বড়বাজার অঞ্চলে অনেকেই গুদাম ভাড়া দেন। বহু ব্যবসায়ী মাসিক চুক্তিতে সেই গুদামে নিজেদের মাল রাখেন। কী ধরনের মাল বস্তাবন্দি করে গুদামে ব্যবসায়ীরা রাখছেন,  সেই বিষয়ে গুদামের মালিকরা খোঁজখবরও রাখেন না। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়,  বস্তার পাশে বসে মালবাহকরা ধূমপান করেন। আবার বহু গুদামেরই বৈদ্যুতিক তারের এমন অবস্থা,  যে কোনও সময়ই হতে পারে শর্ট সার্কিট। অথচ বেশিরভাগ গুদামেই রাখা হয় না অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। তাই যে কোনও গুদামে যাতে বেআইনিভাবে বাজি লুকিয়ে না রাখা হয়, সেই বিষয়ে নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[বিশ্বের দরবারে বাংলার পুজো, তারকাখচিত কার্নিভালে বিদায় উমার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ