স্টাফ রিপোর্টার: পড়া না পারায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার। ছাত্রী তাতে নারাজ হলে শাস্তিস্বরূপ আড়াইশোবার কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল বেহালার বাসুদেবপুর হাই স্কুলের ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পকসো আইনে রুজু হয়েছে মামলা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক অতনু দাশগুপ্তকে।
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, সোমবার পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের ওই শিক্ষক বলেন, ‘পড়া না পারলে চুমু খেতে হবে৷’ শিক্ষকের ভয়ে কয়েকজন পড়ুয়া তাঁকে চুমু খায় বলেও জানা গিয়েছে৷ কিন্তু ছাত্রীটি এতে আপত্তি জানায়৷ অভিযোগ, এর শাস্তি হিসাবে তাকে ২৫০ বার ওঠবস করার নির্দেশ দেন অতনু৷ ১১০ বার ওঠবসের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই পড়ুয়া৷ বাড়িতে অসুস্থতার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে অন্য স্কুলে ভরতি হওয়ার কথা বলে। এতেই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। যার জেরে সহপাঠীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারে ছাত্রীর পরিবার। মঙ্গলবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা।
[ভারতীর ব্যাংক লকার পরীক্ষা সিআইডির, স্বামীকে ভবানী ভবনে জেরা]
পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটক। অভিযুক্ত শিক্ষককে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, স্নেহের বশে তিনি চুমু চেয়েছিলেন। ছাত্রীরা বিষয়টিকে অন্যভাবে নিয়েছে। যদিও তাঁর এই যুক্তি কেউ মেনে নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, বলে দাবি করে কাউন্সিলরকে মুচলেকা দেয় ওই শিক্ষক। পরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ছাত্রীর মা। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে ডেকে তার বয়ানও নেন তদন্তকারী অফিসার৷ ওই ছাত্রীর বয়ানের প্রেক্ষিতেই পকসো আইনে অভিযুক্ত ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে থানা৷ তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
প্রসঙ্গত, গত আড়াই মাসে এ নিয়ে পঞ্চম বার কলকাতার কোনও স্কুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল৷ জি ডি বিড়লা, কারমেল কাণ্ডের স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা৷ বেহালার বাসুদেবপুর হাই স্কুলের এই ঘটনা ফের চিন্তায় ফেলল অভিভাবকদের৷
[মেটিয়াবুরুজের ‘ডেরায়’ আটক কিশোরী, উদ্ধারে ভয় পুলিশের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.