সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্লু হোয়েল! এই নামটি শুনলেই আঁতকে উঠছেন অভিভাবকরা। প্রযুক্তির নেতিবাচক ধাক্কায় এখন ত্রাহি ত্রাহি রব। নীল তিমির হাত থেকে ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে কী করবেন তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত। এমনই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে এক ভয়াবহ তথ্য। গুগলের তথ্য বলছে ‘ব্লু হোয়েল’ লিখে ইন্টারনেটে সব থেকে বেশি সার্চ করা হচ্ছে কলকাতাতেই।
[ সাউথ পয়েন্টের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, তবে কি ফের কামড় বসালো ‘নীল তিমি’? ]
সম্প্রতি বিশ্বের ৩০টি প্রধান শহরে সমীক্ষা চালায় জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। উদ্বেগজনকভাবে সেখানে জানা যায় বিশ্বে ‘ব্লু হোয়েল’ লিখে সবচেয়ে সার্চ করা হয় কলকাতাতেই। শুধু তাই নয় ওই তালিকায় রয়েছে ভারতের সাতটি শহর। গুয়াহাটি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, দিল্লি-সহ ওই তালিকায় রয়েছে হাওড়ার নামও। বিশ্ব জুড়ে নীল তিমির হানায় প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশো কিশোর-কিশোরী। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও হানা দিয়েছে এই কিলার গেম। অভিযোগ, নীল তিমির খপ্পরে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে মেদিনীপুরের এক ছাত্র। শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়গপুরে চত্বরে অবস্থিত একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রীর হাতে কাটা দাগকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছিল ব্লু হোয়েলের আতঙ্ক। সোমবার এই কলকাতার বুকে পুলিশি তৎপরতায় চরম পরিণতি থেকে রক্ষা পান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র। এছাড়াও মুম্বই, ইন্দোর-সহ একাধিক শহরে এই মারণখেলায় মেতে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া।
[ বেলাগাম ফি বৃদ্ধির অভিযোগে ধুন্ধুমার গড়িয়ার স্কুলে ]
উল্লেখ্য, এই অনলাইন গেমটিতে থাকে মোট ৫০টি চ্যালেঞ্জ। প্রথমে ভোর ৪টেয় কোনও ভয়ের সিনেমা দেখা। তারপর ক্রমে কখনও হাত কেটে ছবি আঁকা এবং সব শেষে ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করা। এবং সব কিছুই ভিডিও তুলে প্রমাণ হিসেবে পাঠাতে হবে। ইতিমধ্যে ইউরোপ ও রাশিয়ায় মারাত্মক এই গেমের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাঁদের বেশিরভাগই কিশোর ও কিশোরী। এই গেমের উৎপত্তি রাশিয়ায়। সেখান থেকে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই গেম। চলতি বছরের শুরুতেই এই গেমটি যিনি তৈরি করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করে রুশ পুলিশ।