অভিরূপ দাস: হাসপাতাল বেশ নামী। রোগীদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। তবে ভুল হলে কারও মাফ নেই। জরিমানা তো দিতেই হবে। কে দেবে? দেওয়া হবে আলিপুর রোডের কোঠারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। মৃত্যুর পরও রোগীর শরীর থেকে রক্ত নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতেও এই জরিমানা হল শহরের নামী হাসপাতালের।
[২৪ ঘণ্টার মধ্যে সল্টলেকে বৃদ্ধ খুনের কিনারা, গ্রেপ্তার ভাড়াটে]
ঘটনার সূত্রপাত হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। ২৪ মার্চ শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোঠারি হাসপাতালে ভর্তি হন ৯২ বছরের অন্নপূর্ণা শেঠ। আইসিইউ-তে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। মার্চ মাসের তিরিশ তারিখ বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মৃত্যুর প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক পর তাঁর শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়। হাসাপাতালের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হন মৃতার পুত্র চন্দন কুমার শেঠ। চন্দনবাবুর অভিযোগ ছিল, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত স্ব-জ্ঞানে ছিলেন অন্নপূর্ণা দেবী। কেন মৃত্যুর পরও তাঁর শরীর থেকে এভাবে রক্ত নেওয়া হল? শোনা যায়, যিনি রক্ত নিয়েছিলেন। তিনি ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন মাত্র। তাঁর রক্ত নেওয়ার কোনও অধিকারই ছিল না। কেন এমনটা হল? এই প্রশ্নই কমিশনের কাছে করেছিলেন চন্দনবাবু। ২৯ মে ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
[বৃদ্ধা প্রাপ্য না পেলে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মাইনে বন্ধ, তোপ আদালতের]
সেই দাবিতেই শুক্রবার রায় দিল কমিশন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল। জানানো হয়েছে, এই লক্ষ টাকা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাঙ্ক ড্রাফটের মাধ্যমে রোগীর আত্মীয়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ নতুন নয়। সাম্প্রতিক অতীতেও একাধিক ঘটনায় শোরগোল পড়েছে৷ অ্যাপোলো, পিয়ারলেস, মেডিকার মতো নামী বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে মৃতের পরিবারের সদস্যরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর৷ এর জেরেই স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিশনের রায়েই এবার বিচার পেলেন চন্দনবাবু।
[নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ, গ্রেপ্তার যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.