Advertisement
Advertisement
Kunal Ghosh

সুদীপ্ত সেনের চিঠি বয়ান হিসেবে গ্রহণ করল আদালত, সার্টিফায়েড কপি হাতে পেলেন কুণাল ঘোষ

বিচারক সারদা মামলায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। 

Kunal Ghosh has got the certified copy of Sudipta Sen's letter | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 26, 2020 10:21 pm
  • Updated:December 26, 2020 10:21 pm

অর্ণব আইচ: প্রেসিডেন্সি জেলে বসে সারদা নিয়ে লেখা চিটফান্ড কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি সরাসরি এল আদালতে। চিঠির বিষয় বয়ান হিসাবে গ্রহণ করে মামলার রেকর্ডে তা অন্তর্ভুক্ত করল আদালত। শনিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, সারদা সংস্থার কোন কোন কর্মচারী এই প্রতারণার জন্য দায়ী ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা, যাঁরা অ্যাকাউন্ট বহির্ভূত টাকা নিয়েছেন, তাঁদের নাম ও টাকার পরিমাণ ওই চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন।

সম্প্রতি সুদীপ্ত সেনের লেখা একটি চিঠির সত্যতা যাচাই করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী আদালতে আবেদন করেন। চিঠির সত্যতা যাচাই করার আবেদন জানান কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। কুণালবাবু বলেন, সম্প্রতি তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী তাঁকে জানান, সুদীপ্ত সেন তাঁর নিজের হাতে লেখা ২১ পাতার একটি চিঠি তাঁর বয়ান হিসেবে সিএমএম আদালতের কাছে পাঠান। বিচারক সারদা মামলায় সেটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। 

Advertisement

এদিন কুণাল ঘোষ এর সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়েছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে কুণাল ঘোষ জেনেছেন, ২০১৩ সালে তাঁর লেখা যে চিঠিটি সামনে আনা হয়েছিল, সেটি কারা তাঁকে লিখিয়েছিলেন, তাঁকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন, কারা যোগাযোগ রেখেছিলেন ও সেই গোটা প্লট সাজিয়েছিলেন, আগের কোন প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে ও কেন তিনি এখন সত্যি কথাগুলি লিখছেন, এই চিঠিতে তা বর্ণনা করেছেন। তার জন্য এখন সুদীপ্ত সেন অনুতাপ করছেন বলে কুণাল ঘোষ জানান। এই চিঠি সারদাকর্তা (Sudipta Sen) রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, সিবিআই এর ডিরেক্টর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সিএমএম কলকাতার উদ্দেশে লিখেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আবগারি দপ্তর দুর্নীতির আখড়া! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের]

কুণালবাবু আরও জানান, জেল কোড অনুযায়ী যদি কোনও বন্দি প্রিজনার্স পিটিশনে যে আদালতের আওতায় তাঁর মামলা আছে, সেই আদালতের বিচারককে কোনও চিঠি লেখেন, তাহলে সেই চিঠি সরাসরি জেল পাঠিয়ে দিতে বাধ্য। এই চিঠিতে বেশ কিছু নাম রয়েছে যাঁদের রাজ্য এবং সিবিআই মামলায় সাক্ষী হিসেবে দেখানো আছে। কিন্তু তাঁদের অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো উচিত। কেউ কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সাক্ষী হওয়ার চেষ্টা করছেন।

কুণালবাবুর অনুরোধ, এই চিঠির প্রত্যেকটি কথার যেন যথাযথ তদন্ত হয়। সব ষড়যন্ত্রকারীকেই গ্রেপ্তার করতে হবে। কারা দপ্তরকে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, চিঠিটি যাঁদের সম্বোধন করে লেখা, তাঁদের কাছে অবিলম্বে যেন পাঠানো হয়। তাঁরাও যেন তদন্তের উপর গুরুত্ব দেন। বিচারকদের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, তদন্তকারী এজেন্সিগুলি যেন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়। সিবিআই, ইডির সঙ্গে সঙ্গে বারাসত বিশেষ কোর্টে রাজ্য পুলিশের যেসব মামলা ১৭৩ ধারা প্রয়োগে খোলা আছে, সেগুলিরও যেন তদন্ত হয়। পুরো বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে সামনে আনার অনুরোধ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে যে তথ্যগুলি তদন্তের আওতায় আনা হয়নি, এই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন সেগুলি জোর দিয়ে লিখেছেন ও আরও কিছু অকথিত তথ্য দিয়েছেন, যেগুলি অন্য কারও পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না।

[আরও পড়ুন: হেস্টিংসে বিজেপি সাংসদের গাড়িতে হামলা, নালিশ শুনেই রিপোর্ট তলব অমিত শাহর]

২০১৩ সালে সুদীপ্ত সেন যখন অন্তর্ধান অবস্থায় ছিলেন, তখন সিবিআইকে লেখা তাঁর টাইপ করা চিঠিটি সামনে এসেছিল। তাতে শুধু সই ছিল সুদীপ্ত সেনের। তাঁকে পাওয়া না গেলেও ওই বছরের ১৮ এপ্রিল দিল্লিতে এক রাজনৈতিক নেতা চিঠিটি দেখিয়ে সেটি প্রথম প্রকাশ করেন। কুণালবাবুর প্রশ্ন, সিবিআইকে লেখা চিঠি ওই রাজনৈতিক নেতার কাছে এল কীভাবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ